শিশুদের দিয়ে খাল থেকে পচাগলা মৃতদেহ টেনে তোলাচ্ছেন দুই পুলিশকর্মী। এমনই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী হওয়ায় চরম অস্বস্তিতে পড়ল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সেই ভিডিও। এরপরই নিন্দার ঝড় উঠেছে নেটপাড়ায়।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সকালে ওয়ালিপুর-গাং খালে একটি অজ্ঞাতপরিচয় মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। দেহটি একটি কালভার্টের কাছে আটকে ছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কোতোয়ালি থানার এক সাব-ইনস্পেক্টর ও একজন কনস্টেবল। তাঁরাই খাল থেকে মৃতদেহটি টেনে বের করে আনতে স্থানীয় শিশুদের কাজে লাগান বলে অভিযোগ।
বুলন্দশহরের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট সন্তোষ সিং জানিয়েছেন, ‘আমরাও ভিডিওটি দেখেছি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি কাঠের লাঠি দিয়ে মৃতদেহটিকে খালের একপাশ থেকে টেনে বের করে আনছে শিশুরা। আর পাশে দাঁড়িয়ে সেই দৃশ্য দেখছেন সাব ইন্সপেক্টর ও কনস্টেবল। পুলিশের এই আচরণ যে মোটেই ভালো নয়, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আর এ ধরনের আচরণের প্রভাব গোটা ডিপার্টমেন্টের উপর পড়ে। ভিডিওয় যে বাচ্চাদের দেখা গিয়েছে, তারা প্রত্যেকেই নাবালক। এ ধরনের কাজে তাদের সাহায্য কখনওই নেওয়া উচিত না।’ এই খবর প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সাব ইন্সপেক্টর রাম নরেশ ও কনস্টেবল মহাবীরকে পুলিশ লাইনে বদলি করা হয়েছে।
ভিডিওটিতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে যে, চারটি শিশু খাল থেকে মৃতদেহটিকে টেনে বের করে আনছে। আর কিছুটা দূরত্বে দাঁড়িয়ে তা দেখছেন অভিযুক্ত দুই পুলিশকর্মী ও আর এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সন্তোষ সিং। তিনি জানান, স্থানীয় পুলিশ সার্কেল অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এসএসপি বলেছেন, ‘কেন এমন সিদ্ধান্ত নিতে হল, কেন মৃতদেহ বের করে আনতে শিশুদের কাজে লাগানো হল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে যথাযথ শাস্তি হবে অভিযুক্তদের।’
এ দিকে, যে দেহটি খালে ভেসে এসেছিল এখনও তার পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। জানা গিয়েছে, দেহটিতে কোনও ক্ষত চিহ্ণও ছিল না। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দেহটির পরিচয় জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।