দিল্লীর সরকারি বাংলো খালি করার নির্দেশিকা আসার পরই বড়সড় সিদ্ধান্ত নিলেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এবার দিল্লীর পরিবর্তে নিজের স্থায়ী বাসস্থান তিনি সরিয়ে নিয়ে যাবেন লখনউতে। প্রিয়াঙ্কা উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে আছেন। ২০২২ বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে দলের সংগঠন শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন। সূত্রের খবর, সেই লক্ষ্যেই এবার সরাসরি লখনউতে আস্তানা করতে চলেছেন কংগ্রেস নেত্রী।
প্রিয়াঙ্কা উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে সক্রিয়। একের পর এক ইস্যুতে কেন্দ্র ও উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে বিঁধছেন তিনি। শোনভদ্রে গণহত্যার শিকার পরিবারগুলির ক্ষতিপূরণ হোক, কিংবা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বাসের ব্যবস্থা। প্রিয়াঙ্কার আগমন যে যোগীকে চাপে ফেলেছে তা বলাই বাহুল্য। এবার তিনি সরাসরি লখনউতে বাসা বাঁধলে সেই চাপ আরও খানিকটা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
জানা গেছে সপ্তাহ দু’য়েকের মধ্যেই লখনউয়ের ‘কৌল হাউস’-এ বসবাস শুরু করবেন কংগ্রেস নেত্রী। এই বাড়িটি ইন্দিরা গান্ধীর মামি শীলা কৌলের। বলা ভাল, এটি ইন্দিরার স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি। সেখানেই এখন আস্তানা হবে প্রিয়াঙ্কার।
এই মুহুর্তে তিনি জনপ্রতিনিধিও নন। এসপিজি নিরাপত্তাও নেই। তাই নিয়মের গেরোয় পড়ে ১ আগস্টের মধ্যেই খালি করে দিতে হবে দিল্লীর সরকারি বাংলো। কংগ্রেস নেত্রীকে বুধবারই নোটিস ধরিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কংগ্রেসের অভিযোগ, এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। গান্ধী পরিবারের প্রতি ঘৃণা থেকেই এই ‘অপমানজনক’ পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা এখান থেকেই নতুন লড়াইয়ের সূচনা করতে চান। তিনি ঠিক করে ফেলেছেন, আর দিল্লী নয়। যদি সরকারি বাংলো খালি করতেই হয়, তাহলে তিনি ঘাঁটি গাড়বেন লখনউতে। যাতে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে আরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া যায়। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে একেবারে মাঠে নেমে আন্দোলন করা যায়।