বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে বিরোধিতা চরমে ওঠার পর অবশেষে গত সোমবার গোটা ভারতে টিকটক- সহ মোট ৫৯টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র। তবে এই সিদ্ধান্তের ফলে সমস্যায় পড়েছেন ভারতে ওই অ্যাপে কাজ করা হাজার হাজার কর্মী। বিশেষ করে ভারতে টিকটকের জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে এখানে কর্মীর সংখ্যাও বাড়িয়েছিল এই সংস্থা। কিন্তু বর্তমানে অ্যাপ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অথৈ জলে সেই সংস্থার কর্মীরা। এই অবস্থায় কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন টিকটকের সিইও কেভিন মায়ের।
বুধবার কোম্পানির ওয়েবসাইটে কর্মীদের উদ্দেশে একটি বার্তা দেন টিকটকের সিইও ও বাইট ডান্সের চিফ অপারেশনস অফিসার কেভিন মায়ের। তিনি বলেন, “টিকটকে আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ইন্টারনেটের দুনিয়ায় এক গণতন্ত্র নিয়ে আসা। তাতে আমরা অনেকটাই সফল হয়েছি। আমরা এই মুহূর্তে অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের সঙ্গেও কথা বলছি। ভারতীয় আইন অনুযায়ী ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষিত ও গোপন রাখা আমাদের প্রধান গুরুত্ব ছিল। আর আগামী দিনেও তাই থাকবে।”
মায়েরের এই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা ছিল “ভারতে আমাদের কর্মীদের প্রতি বার্তা”। তাতে তিনি বলেন, “২০১৮ সাল থেকে কঠিন পরিশ্রমের ফলে ভারতে ২০০ মিলিয়ন ইউজার আমাদের। তাঁরা প্রত্যেকে টিকটকে নিজেদের প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটান। তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা সবার সঙ্গে ভাগ করে নেন। আমাদের কর্মীরাই আমাদের সবথেকে বড় শক্তি। তাই তাঁদের ভাল থাকা আমাদের প্রধান কর্তব্য। আমরা ভারতে থাকা আমাদের ২০০০-এর বেশি কর্মীকে বলতে চাই, তাঁদের সুযোগ ও ফের আগের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য এখন ১০০ শতাংশ চেষ্টা করছি আমরা।”
কেভিন মায়ের আরও বলেন, “টিকটক কয়েকশ মিলিয়ন ব্যবহারকারীকে সুযোগ করে দিয়েছে তাঁদের প্রতিভা দেখানোর। তাঁদের শিল্প, গল্প বলার ধরন, পারফরম্যান্সের মাধ্যমে এক নতুন দিক খুলে গিয়েছে। শুধুমাত্র বিশ্বের দুনিয়ায় নিজেদের প্রতিভা তুলে ধরাই নয়, একইসঙ্গে অনেক বড় ব্র্যান্ড এমনকি বিনোদন জগতের তারকাদের সঙ্গেও দেখা যাচ্ছে এই টিকটক স্টারদের। বর্তমানে ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও প্রতিভা উঠে আসছে টিকটকের দৌলতে।”