ইংল্যান্ডে সফরে রওনা হওয়ার আগে শারীরিক পরীক্ষা করার সময়েই একের পর এক ক্রিকেটারের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় বিতর্কের মুখে পড়েছিল পাকিস্তান। যার ফলে মহম্মদ হাফিজ-সহ ১০ জনকে দেশে রেখেই ইংল্যান্ডে আসতে হয়েছে তাদের। ইংল্যান্ডে পা দেওয়ার পরে অবশ্য কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে আজহার আলি-বাবর আজমদের। দলের সঙ্গে যাঁরা ইংল্যান্ডে এসেছেন, তাঁদের শরীরে কোনও রকম করোনা ভাইরাসের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলেই জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ডে পা দেওয়ার পরে পাকিস্তানের ২০ জন ক্রিকেটার এবং ১১ জন সাপোর্ট স্টাফের করোনা পরীক্ষা করা হয়। সেই পরীক্ষায় সবারই রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ এসেছে। পাশাপাশি ইসিবি-র তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার এবং তাদের ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের সবার করোনা পরীক্ষার ফল ‘নেগেটিভ’ এসেছে। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের এবং সাপোর্ট স্টাফের এই নিয়ে সব মিলিয়ে ৩ বার করোনা পরীক্ষা করা হল।
শুধু বিদেশ থেকেই নয়, দেশ থেকেও কিছুটা স্বস্তির খবর মিলেছে পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য। এ দিন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশে থেকে যাওয়া দশ জনের মধ্যে ছ’জনের পরপর দু’বার করোনা পরীক্ষার ফল ‘নেগেটিভ’ এসেছে। যার ফলে ওই ছ’জনের ইংল্যান্ড যাওয়ায় আর কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু বাকি চার জনের ফল ‘পজিটিভ’ আসায়, তাঁদের দেশেই থেকে যেতে হচ্ছে।
যে ছ’জনের নাম করোনামুক্ত তালিকায় আছে, তাতে হাফিজ ছাড়া বাকিরা হলেন, ওয়াহাব রিয়াজ, মহম্মদ হাসনাইন, শাদাব খান, মহম্মদ রিজওয়ান এবং ফখর জামান। যে চার জনের ফল আবার ‘পজিটিভ’ এসেছে, তাঁরা হলেন ইমরান খান, কাশিফ ভাট্টি, হায়দার আলি এবং হ্যারিস রউফ। এই ক্রিকেটারদের পরপর দুটো পরীক্ষার ফল ‘নেগেটিভ’ না এলে এঁরা এখন ইংল্যান্ড সফরে যেতে পারবেন না।