এবার খোদ রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত বিশ্বভারতীর অন্দরে দেখা দিল করোনা আতঙ্ক। জানা গেছে, সেখানে এক কর্মী গত কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছেন। যদিও তিনি বর্তমানে করোনা আক্রান্ত কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছুই জানা যায়নি। তবে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা এড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই কোভিড আতঙ্কে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় অফিস। সূত্রের খবর, আজই ওই কার্যালয়ে জীবাণুমুক্তর কাজ শুরু করা হবে।
বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, সরকারি নিয়ম মেনে কেন্দ্রীয় অফিসের বিভিন্ন দফতরে কাজকর্ম করছেন কর্মীরা। সেখানেই গত কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন এক কর্মী। এমনকি গতকালও তিনি জ্বর গায়ে নিয়ে অফিসে আসেন। সহকর্মীর জ্বর দেখেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অন্যান্য কর্মীরা। ওই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত নন তো, সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে সকলের মনে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় নিশ্চিত হতে ওই কর্মীর করোনা পরীক্ষা করানো হবে। এবং রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় অফিস বন্ধ করে রাখা হবে। সেই অনুযায়ী সোমবার সকালেও খোলেনি বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় অফিস। এদিন তা জীবাণুমুক্তও করা হবে।
তবে কেন্দ্রীয় অফিস বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন বিশ্বভারতীর কর্মী এবং পেনশনভোগীরা। কারণ বিশ্বভারতীর কর্মীদের যেমন বেতন হয়নি, তেমনই মঙ্গলবার পেনশনভোগীদের পেনশন পাওয়ার কথা। তবে কেন্দ্রীয় অফিসে নির্ধারিত কিছু কর্মসূচি অন্য ভবন থেকে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এদিকে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কর্মপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠন ভিবিউফা।
তাঁদের অভিযোগ, লকডাউনের সময় সরকারের নির্ধারিত নিয়ম মানেনি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের হস্টেল, অফিসগুলির পাশাপাশি ক্যাম্পাস সংলগ্ন বসবাসকারী কয়েজ হাজার মানুষকে জল, বিদ্যুৎ-সহ বিভিন্ন পরিষেবা দিয়ে থাকে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় খোলা না থাকলে এই ধরনের পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়।