ক্ষতিপূরণ বণ্টনে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আরামবাগে এবং বনগাঁয় বিডিও অফিসে ঝোলানো হল উম্পুনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা। আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তালিকা তৈরির কাজে যাতে কোনও রকম কারচুপি না হয় তা খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হল। ওই কমিটি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ঘুরে তালিকা তৈরির কাজ শুরু করল।
তালিকা টাঙানো হল বনগাঁ বিডিও অফিসেও। শুক্রবারই আরামবাগ বিডিও অফিসে ঝুলিয়ে দেওয়া হল আমফান ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের তালিকা। আরামবাগ ব্লকে মোট ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। দু’একটি বাদে প্রায় সব গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের তালিকা দেওয়া হয়েছে। বিডিও বিশাখ ভট্টাচার্য বলেন, ‘যে দু’একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের নামের তালিকা এখনও দেওয়া হয়নি সেগুলো আজ বা কাল ঝোলানো হবে।’ কেউ যদি ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন না করে থাকেন তাহলে তিনি এখনও করতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন বিডিও। আরামবাগের বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা বলেন, ‘বিজেপি ও সিপিএম–সহ বিরোধী দলগুলি ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের তালিকা ঝোলানোর দাবি জানিয়েছিল। এই সরকার যদি স্বচ্ছ না হত, তাহলে এত তাড়াতাড়ি আমরা কখনও ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের নামের তালিকা প্রকাশ করতে পারতাম না। আমরা সবসময়ই চেয়েছি প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ পাক।’
অন্যদিকে, উম্পুনে ক্ষতিপূরণের তালিকা তৈরিতে স্বচ্ছতা আনতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কমিটি গঠন করা হল দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এই কমিটি সরেজমিনে তদন্ত করে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করবে। এক সপ্তাহের মধ্যে তালিকা তৈরি হয়ে যাবে। এই কমিটিতে পঞ্চায়েত, বিডিও ও থানার একজন করে প্রতিনিধি রয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেক গ্রামে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতি দেখে তালিকা তৈরি করছেন। অন্যায্য কেউ টাকা পেয়ে থাকলে তাঁকে টাকা ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।