লা লিগায় তৈরি হল এক অনন্য ইতিহাস। মায়োরকা বনাম রিয়াল মাদ্রিদের এই ম্যাচ বহুদিন ফুটবলপ্রেমীদের মনে থেকে যাবে। বুধবার আলফ্রেদো দি’স্তেফানো স্টেডিয়াম রঙিন হয়ে উঠল এক কিশোরের আগুনে ফুটবলে। তিনি ব্রাজিলের ভিনিসিয়াস জুনিয়র। কে বলবে কুড়ি বছরে পা দিতে তাঁর আরও আড়াই সপ্তাহ লাগবে। এ হেন প্রতিভার অবিশ্বাস্য গতির সামনে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল মায়োরকার রক্ষণ। আবার অন্যদিকে মাত্র ১৫ বছর ২১৯ দিন বয়সের লুকা রোমেরোকে মায়োরকার জার্সিতে খেলতে দেখা গেল বুধবার। এত কম বয়সে আগে কেউ লা লিগায় খেলেনি।
এই জয়ের ফলে লা লিগা টেবলে শীর্ষ স্থান পুনরুদ্ধার করল রিয়াল। ৩১ ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট ভিনিসিয়াসদের। বার্সারও ৩১ ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট। কিন্তু বার্সেলোনার সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাতে এগিয়ে থাকায় এক নম্বরে রিয়াল।
ভিনিসিয়াসকে দু’বছর আগে ফ্ল্যামেঙ্গো থেকে কিনতে কার্পণ্য করেননি রিয়াল কর্তারা। রিয়ো দে জেনেইরোর সেই কিশোর এখন ফুল ফোটাচ্ছেন। শারীরিক ভাবেও অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠেছেন তিনি। লকডাউন পর্বে খাদ্যাভাস বদলে তিনি নিজেকে নতুন ভাবে গড়ে তুলেছেন। মায়োরকা ম্যাচের পরে নায়ক ভিনিসিয়াস বলেছেন, ‘‘বাড়িতে বসে না থেকে বাড়তি পরিশ্রম করেছি। যাতে সুযোগ পেলে তার সদ্ব্যবহার করতে পারি।’’
ম্যাচের ১৯ মিনিটে লুকা মদ্রিচের পাস ধরে বক্সের বাঁ-দিকের কঠিনতম কোণ থেকে যে ভাবে লব করে ১-০ করে গেলেন ভিনিসিয়াস, তা ব্রাজিলের মোহময়ী ফুটবলের স্মৃতি ফেরাল ফুটবলপ্রেমীদের মনে। আর একবার তাঁর নিশ্চিত গোলের শট ফিরে এল ক্রশবারে লেগে। রিয়ালের হয়ে আরেকটি গোল করেন র্যামোস। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই দলের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার হয়ে ওঠা ভিনিসিয়াসকে কী ভাবে এখন প্রথম এগারোয় রাখা যায় ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন জিনেদিন জিদান।