এই মুহূর্তে করোনার থাবায় থরহরিকম্প গোটা দেশ। তবে ভারতে এই মারণ ভাইরাসের থেকেও বেশি প্রাণ যায় যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত হয়ে। ২০১৯ সালেই ভারতে টিবি আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২৪ লাখ মানুষ। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৭৯ হাজারের। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের অনুমানের থেকে কম হলেও, প্রতি কোয়ার্টারে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। সেই তুলনায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত সাড়ে তিন মাসে মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজারের। বুধবার বার্ষিক টিবি রিপোর্ট প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। সেখানেই বলা হয়েছে, গত বছরের তুলনায় ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে যক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যায়।
হু-র হিসাব অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ভারতে যক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যা হওয়ার কথা ছিল ২৬.৯ লাখ। সেখানে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখে। মৃত্যুর নিরিখেও হু-এর হিসেবের চেয়ে অনেকটাই কম আছে ভারতের সংখ্যা। হু-এর এস্টিমেট ছিল ৪.৪ লাখের, সেখানে ভারতে মৃত্যু হয়েছে ৭৯,১৪৪ জনের। এরই মধ্যে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ৬.৮ লাখ রোগীর তথ্য জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে। ২০১৮ সালের তুলনায় যে সংখ্যা প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালের মোট যক্ষ্ম আক্রান্তের মধ্যে ২৮ শতাংশই চিকিত্সা করিয়েছেন বেসরকারি হাসপাতালে।
টিবির চিকিত্সা পরিষেবায় উন্নত পরিকাঠামোর সুফল পাওয়া গিয়েছে চিকিত্সার সাফল্যের হারে। ২০১৮ সালে যেখানে ৬৯ শতাংশ যক্ষ্মা রোগীর চিকিত্সা হয়েছিল সেখানেই ২০১৯ সালে সঠিক চিকিত্সা পেয়েছেন ৮১ শতাংশ রোগী। একই সঙ্গে টিবি রোগীদের এইচআইভি পরীক্ষার হারও বেড়েছে ২০১৯ সালে। ২০১৮ সালে যে সংখ্যা ছিল ৬৭ শতাংশ, ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয় ৮১ শতাংশ। টিবি আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ধরা পড়েছে উত্তরপ্রদেশ (২০শতাংশ), মহারাষ্ট্র (৯শতাংশ), মধ্যপ্রদেশ (৮ শতাংশ), রাজস্থান (৭ শতাংশ) এবং বিহার (৭ শতাংশ)।