এবার মহাকাশ গবেষণা ও পরিকাঠামো উন্নয়নে বেসরকারি সংস্থাকেও প্রবেশের ছাড়পত্র দিল কেন্দ্র। তবে কেন্দ্রীয় গাইডলাইন মেনে ও মহাকাশ পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্যই প্রবেশাধিকার পাবে বেসরকারি সংস্থাগুলি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। পারমাণবিক শক্তি ও মহাকাশ বিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অথরোইজেশন সেন্টারের অনুমতি দিয়েছে। আর ইসরো-ই নেতৃত্ব দিয়ে এই মহাকাশ সংক্রান্ত গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এর আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ যখন মহাকাশ গবেষণায় বিদেশি ও বেসরকারি সংস্থার বিনিয়োগে ছাড়পত্র দেওয়ার কথা বলেছিলেন, তখন বিরোধীরা সরব হয়েছিল, সম্পূর্ণ দেশীয় সংস্থা ইসরোকে তুলে দিতে চাইছে কেন্দ্র। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, এটা অপপ্রচার ছাড়া কিছুই না। ইসরো-ই এই মহাকাশ গবেষণার নেতৃত্ব দেবে।
মহাকাশ নিয়ে ভাবনারর ক্ষেত্রে ইসরোর উপর চাপ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি মহাকাশ গবেষণায় বেসরকারি সংস্থার জন্য দরজা খুলে দিলে দেশের অর্থনীতিও কিছুটা চাঙ্গা হবে। মার্কিন মুলুকেও মহাকাশ গবেষণায় এখন নাসার একচ্ছত্র অধিকার নেই। বেসরকারি সংস্থাও এখন মহাকাশ গবেষণায় বিনিয়োগ করেছে। বহুজাতিক সংস্থা টেসলা স্পেস-এক্স মহাকাশ যান পাঠিয়েছে অন্তঃরীক্ষে। সেই ধাঁচেই ভারতে মহাকাশ গবেষণা উন্মুক্ত করতে চাইছে কেন্দ্র। এই ক্ষেত্রে নিউ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড নামে মহাকাশ বিষয়ক পরিকাঠামো গঠনে সাহায্য করবে।