রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দলের কোনও বিকল্পই নেই। যেভাবে শক্ত হাতে করোনা ও উম্পুন পরবর্তী পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছে তারা, তাতে এই মুহূর্তে রাজ্যে বিধানসভা ভোট হলে ক্ষমতায় ফিরতে পারে তৃণমূলই। এমনটাই জানাচ্ছে সিএনএক্স-এবিপি আনন্দের জনমত সমীক্ষার রিপোর্ট। তবে সমীক্ষার আভাস বলছে, শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে পড়তে হবে শাসক দলকে। তৃণমূল যেখানে ১৫৫ থেকে ১৬৩টি বিধানসভা আসন পেয়ে ক্ষমতা দখলে রাখতে পারে, সেখানে বিজেপি পেতে পারে ৯৭ থেকে ১০৫টি আসন। আর বাম-কংগ্রেস জোটের ঝুলিতে যেতে পারে ২২ থেকে ৩০টি আসন।
সমীক্ষা বলছে, এখন নির্বাচন হলে রাজ্যে তৃণমূল পেতে পারে ৩৮.৫০ শতাংশ ভোট এবং বিজেপির দিকে যেতে পারে ৩২.৭৪ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে, কোনও দলকে সমর্থনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি ৯.৫৩ শতাংশ উত্তরদাতা। রাজনৈতিক শিবিরের মতে, এই অংশের ভোট শেষ পর্যন্ত কোন দিকে যাবে, তার উপরে অনেক সমীকরণ নির্ভর করছে। এই অংশের সিংহভাগের সমর্থন তৃণমূলের দিকে গেলে তারা নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেতে পারে, বিজেপির দিকে গেলে সরকার গড়ার খেলা উল্টে যেতে পারে। আবার তৃতীয় পক্ষ বাম ও কংগ্রেসের দিকে ওই সমর্থনের বড় অংশ ঘুরে গেলে বিধানসভার সম্পূর্ণ অন্য রকম ছবি উঠে আসতে পারে। সিদ্ধান্ত না নেওয়া এই অংশটিকে তাই গুরুত্বপূর্ণই মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা।
রাজ্যে ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের নিরিখে ধরলে তৃণমূল এবং বাম-কংগ্রেসের আসন এই সমীক্ষা অনুযায়ী কমছে। বাড়ছে বিজেপির আসন। আবার গত বছরের লোকসভা নির্বাচনের (রাজ্যে ১৮টি আসন জিতেছিল বিজেপি)হিসাবে দেখলে গেরুয়া শিবিরের আসন কিছু কমছে। তৃণমূলের আসন প্রায় একই থাকছে। আবার লোকসভা ভোটের নিরিখে কিছু আসন বাড়ছে বাম-কংগ্রেসের। উল্লেখ্য, জনমত সমীক্ষার ফল অনেক সময়েই ভোটের প্রকৃত ফলাফলের সঙ্গে মেলে না। তবে মানুষের মনোভাবের আভাস দিতে এই ধরনের সমীক্ষার কার্যকারিতা অস্বীকার করেন না রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।