সব রোগীর মৃত্যুর পরই আর করোনার নমুনা টেস্ট বাধ্যতামূল নয়। এমনই সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য ভবন। সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য ভবনের পরামর্শ মেনে প্রথম হাসপাতাল হিসেবে সিদ্ধান্ত কার্যকর করল এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ।
স্বাস্থ্যভবন মনে করছে, মৃত্যুর পর করোনা টেস্টের রিপোর্ট আসতে অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে। এতে একদিকে মৃতের পরিবারের ভোগান্তি বাড়ছে। একইসঙ্গে মর্গে বেড়ে যাচ্ছে দেহের ভিড়। এই প্রেক্ষিতেই সব মৃত্যুতে করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক নয় বলে সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্যভবনের। এই নিয়ে দ্রুত রাজ্যের হাসপাতাল গুলোয় স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশিকা পাঠানো হবে বলে খবর।
করোনার আবহে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশ দিয়েছিল যে হাসপাতালে কেউ ভর্তি হলেই তার করোনা টেস্ট করতে হবে। কারন অনেক সময়েই দেখা গিয়েছে রোগী হয়ত অন্য সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে কিন্তু সে বা তাঁর বাড়ির লোকেরা এটাও জানে না যে ওই রোগী করোনায় আক্রান্ত কিনা। চিকিৎসকেরা সেই রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে দেখতে পাচ্ছে সে করোনায় আক্রান্ত। একই রকম ভাবে অনেকে খুবই সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে এসে ভর্তি হচ্ছিলেন। তাঁদের চিকিৎসার সময়টুকু পাওয়ার আগেই তাঁরা মারা যেতেন। সেক্ষেত্রে ওই রোগী করোনায় আক্রান্ত কী আক্রান্ত নন সেটা দেখার বা পরীক্ষা করার সময়টুকুও পাওয়া যেত না। সেই সব দেখেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশ দিয়েছিল হাসপাতালে মারা গেলেও রোগীর করোনা টেস্ট করাতে হবে।
কিন্তু এবার এই অবস্থান থেকেই সরে এল রাজ্য এল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এখন সেখান থেকে নয়া নির্দেশ জারি হয়েছে যে এবার থেকে রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে কেউ মারা গেলে বাধ্যতামূলক ভাবে তাঁর করোনা টেস্ট আর করা হবে না। এরফলে মৃত রোগীর পরিবারের সদস্যদেরের ভোগান্তি কমবে অনেকটাই। অনেকক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছিল, করোনা সন্দেহে ভর্তি রোগীর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানোর আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন তিনি। কিন্তু সেক্ষেত্রে দেহ আটকে রাখা হচ্ছে নমুনা পরীক্ষার জন্য। সেই রিপোর্ট এলে তার ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। আর এই গোটা পদ্ধতি যথেষ্ঠ সময় সাপেক্ষ। এতে মর্গে জমছে একাধিক দেহ। রিপোর্ট আসা পর্যন্ত ভয়ংকর আতঙ্কের প্রহর কাটাতে হয় পরিবারের সদস্যদেরও। এই সমস্ত দিক বিবেচনা করেই সম্ভবত স্বাস্থ্য দফতর এই নয়া পদক্ষেপ নিল।