করোনা আতঙ্কে যখন গোটা দেশ কাঁপছে, কোভিডের মোকাবিলায় যখন ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীরা থেকে শুরু করে গোটা পৃথিবী লড়াই করছে, ঠিক এমন সময় আজ বেলায় বলিউডের মাথায় যেন বাজ পড়ল। নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেন তরুণ অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুত। আজ বান্দ্রার নিজের ফ্ল্যাটেই তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। সূত্রের খবর, বিগত ৬ মাস ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন এই তরুণ অভিনেতা। এমনকি চিকিৎসাও চলছিল তাঁর।
১৯৮৬ সালে বিহারের পাটনায় জন্ম তাঁর। পরে পড়াশুনা শেষ করে মুম্বই চলে এসেছিলেন তিনি। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হলেও বরাবরই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ ছিল তাঁর। ২০০৮ সালে হিন্দি সিরিয়াল দিয়েই তাঁর হাতেখড়ি। স্টার প্লাসে ‘কিস দেশ মে হ্যায় মেরা দিল’ সিরিয়াল দিয়ে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু। এছাড়াও অভিনয় করেছিলেন ‘পবিত্র রিস্তা’ নামক সিরিয়ালে। আর বলিউডে এসেই তাঁর প্রথম ছবি ‘কাই পো চে’ সাড়া ফেলে দিয়েছিল দর্শকমহলে। এরপরে অভিনয় করেছেন ‘শুদ্ধ দেশি রোমান্স’, ‘ডিটেক্টিভ ব্যোমকেশ বক্সী’ ও ‘পিকে’র মত ছবিতেও। পরবর্তী কালে মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিকে অভিনয় করেছেন তিনি। যেই সিনেমার পর রাতারাতি সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছিলেন তিনি। তাঁর মুক্তি পাওয়া শেষ ছবি ‘ছিছোড়ে’।
হালফিলের বলিউডে রাজকুমার রাওয়ের মতোই ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দায় উত্থান সুশান্ত সিংহের। সিরিয়াল থেকে শাহরুখ খানের মত সরাসরি সিনেমা জগতে প্রবেশ তাঁরও। বই পড়তেও বড্ড ভালবাসতেন সুশান্ত। ঝরঝরে তরুণ। উন্মাদনায় যেন সর্বক্ষণ টগবগ করছেন। ছোট পর্দায় যখন কাজ করতেন তখনই স্নেহের পাত্র ছিলেন সেটের সকলের। বলিউডেও বিগ বি থেকে শুরু করে প্রযোজক পরিচালকদের খুবই কাছের ছিলেন সুশান্ত। তাঁর এমন মর্মান্তিক পরিণতি যেন আন্দোলিত করে দিয়েছে বলিউড তথা তামাম দেশবাসীকে। মাত্র ৩৪ বছর বয়সেই অকালে ঝরে পড়ল এই তরুণ কুঁড়ি।