প্রায় ২ সপ্তাহ আগে তাঁর শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়েছিল। আজ খবর পাওয়া গিয়েছে, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ তথা দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ফলতার বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের শারীরিক অবস্থার অনেকটাই অবনতি হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। তমোনাশবাবুর শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ২২ মে। পর দিন ২৩ মে তাঁকে ইএম বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তারপর ১৫ দিন কেটে গিয়েছে, তমোনাশ বাবুর শারীরিক অবস্থার উন্নতি তো বিশেষ ঘটেনি বরং আশঙ্কাজনক বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল ফলতার বিধায়ককে। কারণ, তাঁর তীব্র শ্বাসকষ্ট ছিল। রক্তে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ছিল খুব কম। সেই সঙ্গে রক্তে শর্করার পরিমাণ ছিল অত্যধিক বেশি। এছাড়াও রক্তে সোডিয়ামও ছিল বেশি। ভেন্টিলেটরে থাকাকালীন মাঝে কিছু উন্নতি হয়েছিল তাঁর। রক্তে সুগার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছিল, অক্সিজেন স্যাচুরেশন বেড়েছিল, তাছাড়া সোডিয়ামের পরিমাণও কমেছিল। কিন্তু হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে তমোনাশবাবু। তবে চিকিৎসকরা সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের আরও এক বিধায়ক তথা দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর বাড়ির পরিচারিকার থেকেও পরিবারে সংক্রমণ ছড়ায়। সুজিতবাবু, তাঁর স্ত্রী, ছেলে এবং আরও এক পরিচারিকার শরীরে কোভিড পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। শুরুতে হোম আইসোলেশনেই ছিলেন তিনি। কিন্তু পরে জ্বর আসায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সুজিতবাবুর কোনও ঝুঁকি নেই। তিনি শুধু চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাবেন।
ওদিকে তমোনাশবাবুর থেকে তাঁর দুই মেয়ের শরীরেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। তাছাড়া যে দুই ব্যক্তি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁদের দু’জনের শরীরেও কোভিড পজিটিভ পাওয়া যায়। তাঁদের একজনের স্ত্রীর শরীরেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। তবে এঁদের কারও বিশেষ ঝুঁকি নেই। বরং ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছে তাঁদের বেশিরভাগই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।