এ যেন বিনা মেঘেই বজ্রপাত! রোজকার মতোই সব কিছু স্বাভাবিক চলছিল। আচমকাই স্কুলের এক নিরাপত্তারক্ষী ছুরি নিয়ে একের পর এক পড়ুয়া-শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীর ওপরে হামলা চালাতেই এক নিমেষে বদলে গেল গোটা ছবিটা। রক্তাত্ত হয়ে উঠল গোটা স্কুল প্রাঙ্গন। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে চীনের গুয়াজিং প্রদেশের উঝু শহরের ওয়াংফুর সেন্ট্রাল প্রাইমারি স্কুলে। কোনও প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও স্কুলের প্রিন্সিপাল, এক নিরাপত্তা কর্মী ও এক পড়ুয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। হামলাকারী লি শাওমিনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে কী কারণে হামলা তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে পুলিশ।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ‘চায়না ডেইলি’ জানিয়েছে, এদিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ওয়াংফুর সেন্ট্রাল প্রাইমারি স্কুলে আচমকাই ছুরি হাতে চড়াও হয় স্কুলের নিরাপত্তা কর্মী লি শাওমিন। শিক্ষক-পড়ুয়া থেকে অশিক্ষক কর্মী, হাতের কাছে যাকে পেয়েছে তার ওপরেই হামলা চালিয়েছেন। আচমকা হামলায় স্কুল জুড়ে অন্যান্য পড়ুয়াদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। অনেকেই প্রাণ ভয়ে ছোটাছুটি করতে থাকে। বাধা দিতে গিয়ে এক নিরাপত্তাকর্মীও ছুরিকাঘাত হন। এলোপাথারি হামলায় মোট ৩৯ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তারপরেই আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরে চীনের বিভিন্ন শহরে ছুরি নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটছে। মূলত কিন্ডারগার্টেন ও প্রাইমারি স্কুলকে হামলার জন্য বেছে নেওয়া হচ্ছে। প্রায় দেড় বছর আগে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে চীনের পশ্চিমাঞ্চলে চোংকুইন শহরের একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলে ছুরি নিয়ে হামলা চালান এক মহিলা। ওই হামলার ঘটনায় ১৪ জন পড়ুয়া গুরুতর জখম হয়েছিল। ২০১০ সালেও বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটে। যেভাবে স্কুলে স্কুলে ছোট্ট পড়ুয়াদের ওপরে হামলার ঘটনা ঘটছে তাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন অভিভাবকরা। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে, এমনই আশঙ্কা করছেন তাঁরা।