সমস্ত ধর্ম নির্বিশেষে একজন চিকিৎসক রোগীর চিকিৎসা করবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে এই স্বাভাবিক ঘটনার বাইরে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের এক চিকিৎসা এক অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ করলেন। তিনি বললেন মুসলিম মানেই জঙ্গী, তাই ওদের চিকিৎসা করা উচিৎ নয়।
মুসলিমরা জঙ্গী, ওদের চিকিৎসা করাই উচিৎ নয়। ওদের চিকিৎসা করা মানে সরকারি সম্পত্তি এবং চিকিৎসা সামগ্রী দুটোই নষ্ট করা।” প্রকাশ্যে একথা বলছেন উত্তরপ্রদেশের কানপুরের গণেশশঙ্কর বিদ্যার্থী মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষা আরতি লাল চন্দানি। নেটদুনিয়ায় ওই চিকিৎসকের বক্তব্য ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। একজন চিকিৎসকের মুখে এই ধরনের বিদ্বেষমূলক মন্তব্য শুনে স্তম্ভিত নেটদুনিয়া।
ওই চিকিৎসকের মতে মুসলিমদের এত যত্ন করে চিকিৎসা করানো উচিৎ নয়। ভারতের সঞ্চয় কীভাবে নষ্ট হচ্ছে এটা তারই উদাহরণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে নাকি তিনি নিজে একথা জানিয়েছেন। আরতি লাল চন্দানির এই ইসলাম-বিদ্বেষী বক্তব্য নেটদুনিয়ায় আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। অনেকে বলছেন, তিনি নামেই ‘করোনা যোদ্ধা’। গোটা দেশ যে করোনা যোদ্ধাদের আলাদা সম্মানের চোখে দেখছে। অথচ, তাদেরই মধ্যে একজন একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের প্রতি ঘৃণা এবং বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন। এটা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়।
নেটদুনিয়ায় যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তাতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “মুসলিমদের জন্য টেস্টিং কিট, চিকিৎসা সামগ্রী এসব নষ্ট করাটা একেবারেই অদরকারী। ওরা জঙ্গি, ওদের চিকিৎসা না করে পেটানো উচিৎ। কোয়ারেন্টাইন সেন্টার নয় , মুসলিমদের জায়গা হওয়া উচিৎ অন্ধকুঠুরিতে।” আরতি যখন এসব বলছেন, তখন পাশ থেকে আরেক চিকিৎসক আবার বলে ওঠেন, ‘মুসলিমদের শরীরে কোনও ওষুধ ইনজেক্ট করে ওদের মেরে ফেললে কেমন হয়?’ সেই প্রস্তাবেও আপত্তি জানাননি আরতি।