দেহে করোনা বাসা বেঁধে ছিল। তাই দাহ করতে বাধা দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাধ্য হয়ে আক্রমণের মুখে পড়ে শ্মশান থেকে অর্ধদগ্ধ নিয়ে ফিরে দিলেন প্রিয়জনেরা। এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে জম্মুতে। অভিযোগ, মৃতের পরিবারর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জম্মু অঞ্চলের ডোডা জেলার ৭২ বছরের এক বৃদ্ধ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। সরকারি নিয়ম মেনে তাঁর নিকট আত্মীয়রা প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে শেষকৃত্য করতে গিয়েছিলেন। খবর পেয়ে সেখানে শ্মশানের আশপাশের বাসিন্দারা হাজির হন। ততক্ষণে মুখাগ্নি করা হয়ে গিয়েছে। জ্বলতে শুরু করেছে দেহ।
তারপর স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই শ্মশানে মৃতের শেষকৃত্য করতে দেওয়া হবে না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বেঁধে যায়। এমনকী, মৃতের পরিবারকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকেন স্থানীয় মানুষজন। বাধ্য হয়ে শেষপর্যন্ত শ্মশান থেকে আধপোড়া দেহ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের পালিয়ে যেতে হয়। অভিযোগ, উপস্থিত প্রশাসনিক কর্তারা হাজির থাকলেও তাঁরা হাত গুটিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
মৃতের ছেলে জানান, “আমরা বাবাকের দেহ বাড়ির কাছের শ্মশানে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু হাসপাতাল থকে জানানো হয় সংশ্লিষ্ট শ্মশানে সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই মা ও আমরা দুইভাই দুই সরকারি আধিকারিককে নিয়ে শ্মশানে যাই। কিন্তু সেখানে স্থানীয়রা আমাদের উপর হামলা চালায়।”
যদিও পরে অবশ্য অন্যত্র এক শ্মশানে সেই দেহ দাহ করা হয়। কিন্তু গোটা ঘটনায় ব্যাপক সমস্যায় পড়েন মৃতের পরিবার।