করোনার প্রাদুর্ভাব পড়েছে রাজ্যে। ইতিমধ্যেই সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩২১ দাঁড়িয়েছে। তবে মারণ ভাইরাসের প্রকোপের সঙ্গে রাজনৈতিক পরিস্থিতিও উত্তাপ ছড়াচ্ছে ত্রিপুরায়। এবার যেমন রবিবার আগরতলায় বাম ছাত্র যুবদের রক্তদান শিবিরে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই প্রতিবাদে ফেটে পড়লেন দলের ডাকসাইটে বিধায়ক, প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায়বর্মন।
সোমবার সুদীপ বলেছেন, ‘রবিবারের ঘটনার আকস্মিকতায় আমি স্তম্ভিত, আমি বাকরুদ্ধ। যারাই এই হামলা করুক না কেন, এরা শুধু সমাজ ও মানবতার শত্রুই নয়, সভ্যতার বিপজ্জনক ভাইরাস। …এদের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারলে এ রাজ্যে রক্তদানের যে স্বতঃস্ফূর্ত ইচ্ছাশক্তি গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছিল, অচিরেই তা বাধাপ্রাপ্ত হবে।’ আক্রমণকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিও জানান তিনি। ত্রিপুরায় ২৫ বছরের বাম শাসন উৎখাত করে ২০১৮তে বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার প্রতিষ্ঠার পেছনে যাঁর অন্যতম প্রধান অবদান ছিল, সেই সুদীপ এভাবে মুখ খোলায় বেশ বিপাকে শাসক দল এবং বিপ্লবকুমার দেবের সরকার।
প্রসঙ্গত, মাত্র দু’বছরের মধ্যেই রাজ্যের বিজেপি জোট সরকারের শুরুর জনপ্রিয়তা প্রায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। লকডাউনের মধ্যেও ত্রাণ বিলির সঙ্গে নানা জায়গায় এসএফআই-ডিওয়াইএফের রক্তদান শিবির হচ্ছে ঘনঘন। আগরতলার রামনগরে রবিবারের শিবিরে আক্রমণের ঘটনা ঘিরে নিন্দা-ধিক্কারের ঝড় বইছে সামাজিক মাধ্যমে। বাম ছাত্র সংগঠনটির সদস্যরা সোমবার কেন্দ্রীয় প্রতিবাদ কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে পুলিশের সদর দফতরের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে আক্রমণকারীদের গ্রেফতারের দাবি করেছেন। নিন্দা করেছে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সম্পাদক তাপস দে বলেন, বর্বরতার চরম সীমায় পৌঁছেছে ত্রিপুরার জনবিচ্ছিন্ন বিজেপি সরকার। ত্রাণে হামলার পর এখন রক্তদান শিবিরে হামলা চালিয়ে শাসক দল সারা দেশের মধ্যে কদর্য নজির সৃষ্টি করেছে।