এই লম্বা লকডাইনে দেশের পরিযায়ী শ্রমিকদের মতো সমস্যায় আর কেউ পড়েনি। কেউ হাঁটতে হাঁটতে ভিটেতে ঠাঁই পেয়েছেন, কেউ পথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। এখনও শিবিরে রয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। কিন্তু চোর সন্দেহে মারতে মারতে মেরে ফেলা? লকডাউন পর্বে এই নির্মমতারও সাক্ষী থাকল দেশ। গুজরাতের সুরাটে সোমবার চোর সন্দেহে বেধড়ক মার দেওয়া হল।
বিহার থেকে গুজরাতে কাজ করতে এসেছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক সঙ্গম পন্ডিত। একটি জুটমিলে কাজ করতেন তিনি। এ দিন তাঁকে একদল লোক ঘিরে ধরে বেধড়ক পেটাতে থাকতে। সঙ্গম বারবারই বলছিলেন, চুরি করেননি তিনি, বরং ঘরে ফিরতে চাইছেন তিনি। কিন্তু সে কথায় মন গলেনি এলাকাবাসীর।
সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে সঙ্গমকে কয়েকজন সুরাট মিউনিসিপ্যাল ইন্সটিটিউশান অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চে নিয়ে যায়। সেখানেই মারা যান তিনি।
তদন্তে নেমে পুলিশ পরিযায়ী শ্রমিককে গণপিটুনির অভিযোগে এ যাবৎ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এক কাউন্সিলার সতীশ প্যাটেল। পান্জেসারা অঞ্চলের কাউন্সিলার তিনি।