কেন্দ্রের সাহায্য ঠিকমত মেলেনি। তাই নিজেদের উদ্যোগেই কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরছেন দেশের পরিযায়ী শ্রমিকরা। না কোনো গাড়িতে নয়, বেশিরভাগই ফিরছেন পায়ে হেঁটে। দিনের পর দিন তাঁরা হাঁটছেন। কেউ গন্তব্যে পৌঁছচ্ছেন, তো কারও সফর মাঝরাস্তাতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। দু’বেলা দু’মুঠো খাবার আর জলের অভাবে প্রাণহানি হয়েই চলেছে তাঁদের। আর লকডাউনে দেশের পরিযায়ী শ্রমিকদের এহেন দুঃখ-দুর্দশা দেখে ব্যথিত বীরেন্দ্র সেওয়াগ। তাই প্রতিদিন তাঁদের রান্না করে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
দেশের গভীর সঙ্কটের দিনে কেউ যেন অভুক্ত না থাকেন। এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে সকলকেই দেশের গরিব-দুঃস্থদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন সেওয়াগ। বাড়িতেই সাধ্যমতো রান্নাবান্না করে অভুক্তদের খাওয়ার বন্দোবস্ত করার অনুরোধ করেছিলেন। তবে শুধু আহ্বানই জানাননি, নিজেও এগিয়ে এসেছেন এ কাজে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে বলেছিলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য প্রতিদিন রান্না করা খাবার প্যাক করে পাঠাচ্ছেন তিনি।
এ কাজে তাঁকে সাহায্য করছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। প্যাক করা খাবার সেইসব সংস্থার কর্মীরাই পৌঁছে দিচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিক, গরিব-দুঃস্থদের কাছে। অর্থাৎ লকডাউনের বিধি মেনে বাড়িতে বসেই দেশসেবা করতে পারছেন বীরু। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই মহৎ কাজের ছবি পোস্ট করেছেন খোদ প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার। লিখেছেন, ‘বাড়িতে বসে দেশের পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য খাবার তৈরি করার তৃপ্তিটা অন্যরকম। তাঁদের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে পেরে ভাল লাগছে। আপনারাও এই কাজে এগিয়ে আসুন।’
একসময় ক্রিকেটের বাইশ গজ কাঁপানো বীরুর এই পারফরম্যান্সেও উচ্ছ্বসিত তাঁর প্রাক্তন সতীর্থ হরভজন সিং। সেওয়াগের এই মহৎ কর্মের কথা জানার পরেই টুইটারে ভাজ্জি লিখেছেন, ‘দারুণ কাজ করছ বীরু। খুবই ভাল উদ্যোগ। তোমার জন্য আমি গর্বিত।’ প্রসঙ্গত, লকডাউনের মধ্যে দেশের দুঃস্থদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে শচীন তেণ্ডুলকর থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বিরাট কোহলি থেকে ইরফান পাঠানদের। এবার এগিয়ে এলেন জাতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনার বীরেন্দ্র সেওয়াগও।