করোনা সংক্রমণ রোধ করতে গত ২৫ মার্চ থেকে দেশজুড়ে চলছে একটানা লকডাউন। আগামী ৩১ মে শেষ হতে চলেছে যার চতুর্থ দফা। লকডাউন সত্ত্বেও দেশে যে হারে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা, তাতে লকডাউন ৫.০ হবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। ১ জুন থেকে করোনা মোকাবিলায় দেশের অবস্থান কী হবে, তা স্থির করতে এখন জোর তত্পরতা প্রধানমন্ত্রীর দফতর(পিএমও)-এ। চলছে পুরো ৬০ দিনের এই লকডাউন পিরিয়ডের ফলাফল পর্যালোচনার কাজও।
প্রসঙ্গত, লকডাউন পুরোপুরি ব্যর্থ বলে ইতিমধ্যেই তোপ দেগেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এই পরিস্থিতিতে দেশকে লকডাউনের মুখে ঠেলে দিয়ে আদৌ করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে কতটা লাভ হয়েছে, তার পরিসংখ্যান একত্র করার তত্পরতা তুঙ্গে এখন পিএমও-তে। তবে চতুর্থ দফার লকডাউনের পরবর্তী রূপরেখা কী হবে, তা রাজ্যগুলির সঙ্গে পরামর্শ করেই স্থির করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং রাজ্যগুলির পাঠানো তথ্য, পরিসংখ্যান পর্যালোচনার কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, গত দু-দফার লকডাউনে দেশের অর্থনীতিকে সচল করতে শর্তসাপেক্ষে অনেক ক্ষেত্রকেই ছাড় দিয়েছে সরকার। কিন্তু তার সঙ্গে কেন্দ্রকে ভাবাচ্ছে সংক্রমণের মাত্রা। গত ১২-১৪ দিনে ব্যাপক হারে সংক্রমণ বেড়েছে। পিএমও-র এক শীর্ষ সারির আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, অনন্তকাল যেমন লকডাউন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় তেমন সংক্রমণের মাত্রা যে হারে বাড়ছে তাতেও লাগাম টানা প্রয়োজন। তাই ১জুন থেকে কী ভাবে সব চলবে তার একটা পথ বের করার চেষ্টা চলছে। গত কয়েকদিন ধরেই এই কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, হিমাচল প্রদেশ সরকার ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছে। গতকাল জানা গিয়েছিল, সংক্রমণের মাত্রা উদ্বেগজনক জায়গায় থাকা ছ’টি মেট্রো শহর এবং অন্য বেশ কয়েকটি শহরে আরও দু’সপ্তাহ লকডাউন কার্যকর থাকবে। তার মধ্যে রয়েছে কলকাতাও। কারণ দিল্লী, মুম্বই, চেন্নাই, আমদাবাদের মতো শহরে সংক্রমণের হার ব্যাপক। তা ছাড়াও রয়েছে ইন্দোর, পুণে, ঠাণের মতো শহরগুলি। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে মোট কোভিড আক্রান্তের ৭০ শতাংশই শহরের তার মধ্যে আবার ছ’টি মেট্রো শহর সবার ওপরে।