করোনা সংক্রমণ রোধ করতে গোটা দেশজুড়ে জারি একটানা লকডাউন। কিন্তু তা সত্ত্বেও রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। এ হেন পরিস্থিতিতে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অন্যতম যোদ্ধা তাঁরাও। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যেতে হচ্ছে তাঁদের। এবার সেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের আধিকারিকদেরই ঘরে ঢুকিয়ে বেল্ট দিয়ে পেটানোরও হমকি দিলেন কেন্দ্রীয় আদিবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী রেণুকা সিং! আর এই পুরো ঘটনাই ক্যামেরাবন্দী হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ছত্রিসগড়ের রাজধানী রাইপুর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে বলরামপুরের একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে খারাপ খাবার ও নিম্নমানের পরিষেবার অভিযোগ ওঠে। দিলীপ গুপ্তা নামের বলরামপুরের এক বাসিন্দাকে দিল্লী থেকে ফেরার পর ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়। সেখানকার খাবার ও পরিষেবার মান নিয়ে অভিযোগ করেন তিনি। একটি ভিডিও তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন ওই ব্যক্তি। দিলীপ গুপ্তা আরও অভিযোগ করেন, ভিডিও তোলায় তাঁকে নাকি মারধর করেছেন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের আধিকারিকরা। এমনকী তাঁর ফোনও নাকি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।
এই ঘটনার পরেই রবিবার ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার পরিদর্শনে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রেণুকা সিং। সেখানে গিয়ে দিলীপ গুপ্তার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। অন্যান্য ব্যক্তিদের থেকেও অভিযোগ শোনেন মন্ত্রী। তারপরেই তাঁর রাগের বিস্ফোরণ হয়। ক্যামেরার সামনেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘দাদাগিরি বরদাস্ত করা হবে না। কেউ যেন না ভাবেন আমাদের সরকার এখানে ক্ষমতায় নেই। আমরা ১৫ বছর ধরে সরকার চালিয়েছি। ভাববেন না, গেরুয়া পরা বিজেপি কর্মীরা দুর্বল।’
এরপরেই ক্যামেরার সামনেই চরম হুঁশিয়ারি দেন রেণুকা সিং। তিনি বলেন, ‘অন্ধকার ঘরে নিয়ে গিয়ে বেল্ট খুলে কী ভাবে পেটাতে হয়, সেটা আমি খুব ভালভাবেই জানি।’ যদিও ক্যামেরায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের কোনও আধিকারিককে বা অন্য কারও কথা শোনা যায়নি। এই ঘটনার পরেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। একজন মন্ত্রী হয়ে কী ভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার মতো কথা তিনি বলতে পারেন তা নিয়েই রেণুকার সমালোচনায় সরব হয়েছেন নেটিজেনরা।