গত ১৯ তারিখ মুম্বই থেকে বাংলায় ফেরার জন্য বর্ধমান থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন শতাধিক যাত্রী। গন্তব্য ছিল নদিয়া। সকলেই নদিয়ার চাকদহ অথবা কল্যাণীর বাসিন্দা। তাঁদের বক্তব্য, ট্রেনে ওঠার সময় তাঁদের খাবার দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে খাবার, জল কিছুই মেলেনি। টানা প্রায় তিনদিন ধরে ট্রেনে অভুক্ত অবস্থায় তাঁদের কাটাতে হয়েছে বলে অভিযোগ। এই তালিকা আরও দীর্ঘ। নদিয়ামুখী ওই যাত্রীদের বর্ধমানে নামতে হবে নাকি ডানকুনি, তা নিয়েও চূড়ান্ত বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি রেলের তরফে তৈরি করা হয়েছে বলেও অভিযোগে সরব হন তাঁরা। বুঝতেই পারছিলেন না যে কোথায় নামতে হবে।
মুম্বই থেকে ফেরার পথে রেলের এহেন অব্যবস্থার অভিযোগে সরব হলেন যাত্রীরা। বর্ধমান স্টেশনে নেমে তাঁরা আরপিএফ অফিসারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন। পরে অবশ্য তাঁদের শান্ত করে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয়।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ বর্ধমান স্টেশনে নেমে শতাধিক যাত্রী আরপিএফ অফিসারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। ফেরানোর সময়ে কেন এত অব্য়বস্থা, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে অবশ্য ওই আধিকারিক তাঁদের বুঝিয়ে শান্ত করেন। এরপর নিয়ম মেনে যাত্রীদের সকলের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কাদের সরাসরি বাড়িতে পাঠানো হবে আর কাদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। তবে বিশেষ ট্রেনে বাইরের রাজ্যে আটকে থাকা যাত্রীদের ঘরে ফেরানো নিয়ে রেলের বিরুদ্ধে এতটা ক্ষোভ, এই প্রথম।