কোমর বেঁধে করোনা-যুদ্ধ লড়তে নেমেছিল বাংলা। তারই মধ্যে গোদের ওপর বিষফোঁড়ার সামিল হয়ে দেখা দেয় উম্পুন। এই অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে এবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮৬। গতকাল বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, তখনও পর্যন্ত ৭২ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। সেই সংখ্যাটাই আরও বেড়ে গেল। পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা বলছেন, এখনও বহু এলাকায় পৌঁছনোই যায়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় উমফান স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগেই নবান্নের কন্ট্রোল রুমে বসে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, যেখানে যেখানে ঝড়ের দাপট বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সেই সব এলাকায় যেন বিদ্যুতের সংযোগ ছিন্ন করে দেওয়া হয়। বহু এলাকাতেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে তা করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে মারা গিয়েছেন ২২ জন। এর মধ্যে শুধু কলকাতাতেই ৬ জনের বেশি মারা গিয়েছেন। তা ছাড়া বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ার কারণেও ২ জন মারা গিয়েছেন।
পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, ঝড় বৃষ্টিতে রাস্তায় জল জমে ছিল। তাতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছে গ্রাম ও শহর বহু এলাকাতেই। সেই জলে পা দিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন অনেকে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গোটা রাজ্যে অন্তত লক্ষাধিক গাছ পড়েছে। কোথাও বা বড় গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে বাড়ির উপর।
এভাবেই গাছ পড়ে এখনও পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গে দেওয়াল চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন অন্তত ২১ জন। ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাড়ির ছাদ ধসে বা ঘরে ভেঙে সাত জন মারা গিয়েছেন বলে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে। এ ছাড়া সাপের কামড়ে, ঝড়ের আতঙ্কে হার্ট ফেল করে, জলে ডুবেও মৃত্যু হয়েছে অনেকের।