করোনা আক্রান্ত রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসা খোদ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৬ জওয়ান। রিপোর্ট পজিটিভ তা জানার পরই এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে তাঁদের। শুরু হয়েছে চিকিৎসা। শেষ কয়েকদিনে আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছিলেন এমন ৫০ জনকে পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে।
প্রসঙ্গত, নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতি পরিদর্শন করে কয়েকদিন আগেই দিল্লী ফিরেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এরপরই ওই কেন্দ্রীয় দলের এক এসকর্ট পাইলট করোনা আক্রান্ত বলে জানা যায়। এরপরই বাকিদের করোনা পরীক্ষা করা হলে ৬ জনের রিপোর্ট আসে পজিটিভ। তড়িঘড়ি সংক্রমণের আশঙ্কায় কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয় আরও ৫০ জনকে। এ প্রসঙ্গে বিএসএফ-এর (সাউথ বেঙ্গল) ডিআইজি এসএস গুলেরিয়া বলেন, “এখনও পর্যন্ত ৬ জন আক্রান্ত। গোটা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে।” তবে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়ার প্রবল আশঙ্কা করা হচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্য আসার পর কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। রাজ্যের বিভিন্ন কোভিড হাসপাতাল ঘুরেছেন। খতিয়ে দেখেন রোগীরা আদৌ সঠিক পরিষেবা পাচ্ছেন কি না। কথা বলেছেন আক্রান্তদের সঙ্গে। করোনা সংক্রমণে মৃতদের বাড়িতেও যান তাঁরা। এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন তা দেখেন। এই প্রতিনিধি দলের ৫ সদস্যের গিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গে। তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল তিন গাড়ি বিএসএফ জওয়ান। জানা গিয়েছে, এই ৬ আক্রান্তের মধ্যে ২ জন সেই গাড়ির চালক ও একজন অপারেটর। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরলেও কোথা থেকে এই জওয়ানদের শরীরের সংক্রমণ ছড়িয়েছে সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।