টিকিটের মূল্যের থেকেও বেশি দাম দিতে হচ্ছে। এমনটাই জানালেন গুজরাতের সুরাত থেকে বিহারে যাওয়ার বিশেষ ট্রেনে ওঠা পরিযায়ী শ্রমিকরা।
সুরাতে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বস্ত্র ও হিরে শিল্পে কাজ করেন। তেমনই এক শ্রমিক নিশান্ত রাজপুত সোমবার বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেনে উঠেছেন। তিনি জানালেন, ‘আমি সুরাত থেকে পাটনা যাচ্ছি। আমাদের ৭২৫ টাকা দিতে হয়েছে টিকিট বাবদ। অথচ এর দাম ৭১০ টাকা। আমাদের অতিরিক্ত দাম দিতে হচ্ছে। এর আগে যখন আমরা ভ্রমণ করতাম তখন ৬৫০ টাকা দিতে হত। এখন যখন আমাদের কম টাকা দেওয়ার কথা, বেশি টাকা দিতে হচ্ছে।’ এটাই একমাত্র অভিযোগ নয়। খাদ্য ও জলের অভাব নিয়েও অভিযোগ করছেন ট্রেনের যাত্রী পরিযায়ী শ্রমিকরা। গত শুক্রবার থেকে দেশভর পরিযায়ী শ্রমিকদের তাঁদের রাজ্যে পৌঁছে দিতে এই বিশেষ ট্রেনে পরিষেবা শুরু হয়েছে।
নিশান্ত জানাচ্ছেন, ‘কোনও খাবার বা জল নেই। পরিস্থিতি যাই হোক, আমাদের বাড়ি ফিরতেই হবে। অনেকেই তো পায়ে হেঁটেও গিয়েছেন। এখানে অনেক সমস্যা রয়েছে। বাড়ি গেলে অন্তত না খেয়ে মরব না। এখানে করোনা ভাইরাসে মরি আর না মরি, খিদের চোটে নিসশ্চিত মরে যাব।’
আর এক শ্রমিক রাকেশ কুমার জানাচ্ছেন, তিনি খাবারের ব্যাপারে এক রেলকর্মীকে বললে তিনি বলেন, ‘আমি নিজেই খাইনি। তোমাকে নিজের ব্যবস্থা নিজেকেই করে নিতে হবে। বলুন তো, এটা কোনও কথা হল? সরকার বলছে সবটাই বিনামূল্যে। কিন্তু কিছুই বিনামূল্যে মিলছে না। এই ছোট্ট এক বোতলের জলে আমাকে সারা রাত কাটাতে হবে।’ প্রসঙ্গত, সোমবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, টিকিটের মূল্যের ৮৫ শতাংশ দেবে রেল। বাকি ১৫ শতাংশ দেবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য। পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে কোনও মূল্য নেওয়া হবে না।