করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ধাক্কায় কেন্দ্র ও রাজ্যের রাজস্ব আদায়ে ইতিমধ্যেই বড় ধাক্কা লেগেছে। সেই ছবিটা কতটা ভয়াবহ তা কিছু হলেও স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে জিএসটি তথা পণ্য পরিষেবা কর আদায়ের বহরে।
মার্চ মাসে জিএসটি আদায় ৭৪ শতাংশ কমে গেল। গোটা দেশে আদায় হয়েছে মাত্র ২৮,৩০৯ কোটি টাকা। যা গত বছর মার্চের তুলনায় ৮৪ হাজার কোটি টাকা কম। অর্থমন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, গত বছর মার্চ মাসে জিএসটি বাবদ আদায় হয়েছিল ১ লক্ষ ১৩ হাজার কোটি টাকা। যেহেতু জিএসটি আদায় ব্যবস্থা সুচারু করা, বিবিধ পণ্যের উপর জিএসটির হারের সরলীকরণ ইত্যাদি গত এক বছর ধরে করা হয়েছে, তাই প্রত্যাশা ছিল শেষ ত্রৈমাসিকে আদায় বাড়বে। কিন্তু কোভিডের ধাক্কায় হল উল্টো।
অর্থমন্ত্রকের ওই কর্তার কথায়, টাকার অঙ্কটা আরও কিছুটা বাড়তে পারে। কারণ রিটার্ন জমার শেষ তারিখ পিছিয়ে ৫ মে করা হয়েছে। কিন্তু খুব বেশি হেরফের হবে বলে মনে করা হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, মার্চ মাসে ২৪ তারিখ পর্যন্ত দেশে ব্যবসাপত্রের কাজ চলছে। ২৫ তারিখ থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে। এপ্রিল মাসে জিএসটি আদায় আরও কমার আশঙ্কাই প্রবল। কেন না মার্চ মাসে পণ্য পরিবহণের জন্য ই-ওয়ে বিল ৩০ শতাংশ কমেছে। কিন্তু এপ্রিলে কমেছে ৮০ শতাংশ। প্রসঙ্গত, রাজ্যের মধ্যে বা আন্তঃরাজ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকার বেশি মূল্যের পণ্য পরিবহণের জন্য ই-ওয়ে বিল তৈরি করতে হয়।