করোনা আবহে সমবেত ধর্মীয় উপাসনার অধিকারের কতটা গুরুত্ব পাওয়া উচিত? মসজিদ, মন্দির বা গির্জার মতো উপাসনালয়ে মানুষ একত্রিত হলে সামাজিক ব্যবধান বজায় রাখা কি সম্ভব? অন্যান্য সমাবেশের মতো এ ক্ষেত্রেও ব্যাপক আকারে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়৷ এমন কঠিন বাস্তব সত্ত্বেও ইউরোপের অনেক দেশে যখন গির্জা-সহ উপাসনালয় আবার খোলার জন্য চাপ বাড়ছে, তখন গির্জায় উপাসনার অধিকারের দাবি উপেক্ষা করে পোপ ফ্রান্সিস সরকারি বিধিনিয়ম মেনে চলার ডাক দিলেন৷ করোনা মহামারীর ফলে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়া সত্ত্বেও তিনি বর্তমান পরিস্থিতিতে সংহতির উপর জোর দিচ্ছেন তিনি৷
প্রসঙ্গত, ইতালিতে ৪ঠা মে থেকে লকডাউন শিথিল করা হলেও গির্জায় মাস বা সমবেত উপাসনার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না৷ করোনা সংকট কিছুটা সামলে উঠে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফেরার চেষ্টা করছে সে দেশ৷ প্রধানমন্ত্রী জুসেপে কন্টের সরকার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুমতি দিলেও গির্জায় প্রার্থনার সুযোগ সম্পর্কে কোনো পূর্বাভাষ দেয়নি৷ ফলে সে দেশের ক্যাথলিক বিশপরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন৷ তাঁদের মতে, গির্জায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়া সত্ত্বেও সরকার তা গ্রাহ্য করেনি৷ উপাসনার অধিকার সঙ্কোচন তাঁরা মানতে পারছেন না৷। সরকার জানিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব গির্জায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে৷
এই বিতর্কের অবসান করতে আসরে নেমেছেন পোপ ফ্রান্সিস৷ তিনি ধর্মীয় অনুভূতির তুলনায় বৈজ্ঞানিক পরামর্শকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন৷ সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি ‘সুবুদ্ধি ও আনুগত্য’-সহ প্রোটোকল মেনে চলার ডাক দিয়েছেন৷ কোয়ারেন্টাইন থেকে বেরিয়ে আসার উদ্যোগের প্রেক্ষাপটে তিনি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন৷ তিনি বলেন, মহামারি যাতে আবার ফিরে না আসে, তা নিশ্চিত করতে ঈশ্বর যেন সব মানুষকে ‘সুবুদ্ধি ও আনুগত্য’ দেন৷