দেশের স্বেচ্ছা ঋণখেলাপিদের নিয়ে এবার যুযুধান কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিরোধী দল কংগ্রেস। দেশের ৫০ জন রাঘববোয়ালের একটি তালিকা সম্প্রতি প্রকাশ করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সেই তালিকা থেকেই জানা যায় ইচ্ছাকৃতভাবেই দেশের ব্যাঙ্কগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ নিয়ে তা শোধ করেননি তাঁরা। তালিকায় আছে নীরব মোদী, মেহুল চোকসি, বিজয় মালিয়াদের মতো বিজনেস টাইকুনের নামও। আরবিআই জানায়, মোট ৬৮,৬০৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়েও তা ফেরত দেননি স্বেচ্ছা ঋণখেলাপিরা। এই তালিকাকে হাতিয়ার করে মঙ্গলবার বিজেপি তথা মোদী সরকারকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কটাক্ষ করলে, গভীর রাতেই পরপর ১৩টি টুইট করে সেই কটাক্ষের জবাব দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তবে সীতারামনের টুইট বাণ চুপচাপ হজম করেনি কংগ্রেস।
কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা অর্থমন্ত্রীকে পাল্টা ৪টি প্রশ্ন করেছেন। রীতিমতো চ্যালেঞ্জের সুরে বলেছেন ওই বিরোধী নেতা বলেন, ‘এই ৪ টি প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দিন নির্মলা সীতারামন।’
প্রশ্নগুলি হল, ১। মোদী সরকার ২০১৪-১৫ থেকে ২০১৯-২০ সালের মধ্যে ঋণ খেলাপিদের ৬,৬৬,০০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ঋণের কথা কেন আড়াল করতে চেয়েছিল?
২। আরটিআইয়ের জবাবে ঋণখেলাপিরদের ৬৮,৬০৭ কোটি টাকার ঋণ মকুব করে দেওয়ার বিষয়ে যে জবাব দিয়েছে আরবিআই তা কি ঠিক?
৩। কেন মোদী সরকার সেই সব ঘৃণ্য ব্যক্তিদের আড়াল করার চেষ্টা করছে যারা দেশের অর্থ নিয়ে পালিয়ে গেছে? নীরব মোদী ও মেহুল চোকসি (৮,০৪৮ কোটি টাকা), যতীন মেহতা (৬,০৩৮ কোটি), মালিয়া (১,৯৪৩ কোটি) এবং বিজেপির আরও অন্যান্য বন্ধুরাও রয়েছেন এই তালিকায়।
৪। ৬,৬৬,০০০ কোটি টাকার বিরাট ঋণ মকুব করার মতো সিদ্ধান্ত সরকারি কীভাবে নিতে পারে, কে অনুমতি দিল এবিষয়ে?
দেশের ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণখেলাপিদের নাম নিয়ে যে তালিকা প্রকাশ করেছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, মঙ্গলবার সেটিকে হাতিয়ার করেই বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধী। তারপর গভীর রাতে কংগ্রেস সাংসদের সেই আক্রমণের জবাব দিতে বসেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ‘নির্লজ্জভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করার’ চেষ্টা করছেন রাহুল গান্ধী, এমন অভিযোগ করেন তিনি। এরপরেই মোদী সরকারের উদ্দেশ্যে ৪ প্রশ্ন বাণ ছুঁড়ল কংগ্রেস।