ভারতে সংখ্যালঘুরা বিপন্ন বলে তাদের রিপোর্টে জানাল ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম তথা ইউএসসিআইআরএফ। সেখানেই থেমে থাকেনি তারা, ভারতীয় সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন পাশ করানোর প্রসঙ্গে ওই মার্কিন কমিশনের রিপোর্টে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ভূমিকারও সমালোচনা করা হয়েছে।
ওই মার্কিন কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতকে নিয়ে বিশেষ উদ্বেগের কারণ রয়েছে। কারণ, ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের ব্যাপারে যে ধরনের ঘটনা ঘটছে তা দেখেও সরকার কখনও চুপ করে রয়েছে, কিংবা সরকারই সে সব ঘটনায় জড়িয়ে যাচ্ছে।
মার্কিন রিপোর্টে স্পষ্টতই বলা হয়েছে যে, ২০১৯ সালের ভোটে পুনরায় জিতে আরও সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠনের পর বিজেপি জাতীয় স্তরে এমন সব নীতি নিচ্ছে, যাতে সংখ্যালঘু বিশেষ করে মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিপন্ন হচ্ছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে, তাদের হেনস্তা করা হচ্ছে।
রিপোর্টে এর পরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর প্রসঙ্গ টানা হয়েছে। ভিনদেশি অনুপ্রবেশকারী শ্রমিকদের তিনি যে উইপোকা বলে মন্তব্য করেছিলেন, তার সমালোচনা করা হয়েছে রিপোর্টে। সেই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কথাও বলা হয়েছে। যোগী বলেছিলেন, যাঁরা নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছেন তাঁদের বিরিয়ানি নয় বুলেট খেতে হবে। সেই মন্তব্যের সমালোচনা করা হয়েছে রিপোর্টে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লীতে তিন দিন ধরে হিংসা চলেছে। মুসলিমদের আক্রমণ করা হয়েছে সেই হিংসায়। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, সেই হামলা বন্ধ করতে শুরুতে পুলিশ সক্রিয় ছিল না। বরং অভিযোগ, কোথাও কোথাও হামলাকারীদের ইন্ধন দিয়েছে পুলিশ। মার্কিন কমিশনের এই রিপোর্টের তীব্র নিন্দা করেছে নয়াদিল্লী।