প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে টুইটারে আনফলো করে দিল মার্কিন প্রসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউস। মোদীর ব্যক্তিগত টুইটার হ্যান্ডেলের পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং রাষ্ট্রপতির দপ্তর-সহ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কিত মোট ৫টি টুইটার অ্যাকাউন্ট আনফলো করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন। তবে কি ভারত, আমেরিকার সম্পর্কে ছন্দপতন হল? উঠছে প্রশ্ন।
আশ্চর্যের বিষয় হল, সপ্তাহ তিনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ-সহ এই পাঁচটি টুইটার হ্যান্ডেল ফলো করা শুরু করে হোয়াইট হাউস। তখন হোয়াইট হাউসের সরকারি টুইটার হ্যান্ডেলের ফলোয়ার সংখ্যা ছিল ২১.৫ মিলিয়ন। এবং হোয়াইট হাউস ফলো করত ১৯ জনকে। সেই ১৯ জনের মধ্যে ৬ জনকে আনফলো করল মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন। যে হ্যান্ডেলগুলি আনফলো করা হয়েছে তাঁর মধ্যে ওয়াশিংটনে ভারতের দূতাবাস এবং ভারতে আমেরিকার দূতাবাসও রয়েছে। আপাতত হোয়াইট হাউসের ফলোয়ার সংখ্যা ২২ মিলিয়ন। এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ফলো করছে ১৩ জনকে।
কাকতালীয়ভাবে এমন একদিনে এই ঘটনাটি ঘটল যেদিন ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত মার্কিন কমিশন ভারতে মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার ধর্মীয় স্বাধীনতার নিরিখে বেশ খানিকটা নামিয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত মার্কিন কমিশনটি। আমেরিকা সরকারের কাছে তারা সুপারিশ করেছে যাতে, ভারতকে ‘নির্দিষ্টভাবে সমস্যাযুক্ত’ দেশের তালিকায় রাখা হয়। এই তালিকায় পাকিস্তান এবং উত্তর কোরিয়া, চীনের মতো ১৪টি দেশ রয়েছে যেখানে প্রতিদিন সংখ্যালঘুদের উপর অকথ্য অত্যাচার করা হচ্ছে। আর তাতেই কূটনৈতিক মহলে জল্পনা তবে কি ভারত ও মার্কিন সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে? কিছুদিন আগেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বেশ খানিকটা চাপানউতোর চলেছে। এবার হঠাৎই এভাবে মোদীকে আনফলো করার কোনও তো কারণ আছে।