দেশজোড়া লকডাউনের জেরে বন্ধ গণপরিবহন। এই অবস্থায় চেন্নাইতে মৃত্যু হয় মিজোরামের এক বাসিন্দার। অবশেষে তাঁর দেহ বাড়িতে পৌঁছে দিতে প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার গাড়ি চালালেন অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা। আর তামিলনাড়ুর অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানালেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, চেন্নাইতে একটি বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত ছিলেন ওই ব্যক্তি। ২৩ এপ্রিল তিনি চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে মারা যাওয়ার পর তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মিজোরামে তাঁর বাড়ি পৌছে দিতে তৎপরতা দেখান তামিলনাড়ুর দুই অ্যাম্বুল্যান্স চালক। তাঁদের এই কাজে খুশি হয়ে মিজোরামের মু্খ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা নিজে টুইট করেন। এবং চালকদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান নিজের রাজ্যে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে চালকদের দুটি ভিডিও সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করেন দেখে অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা। আর আইজলের প্রতিটি মানুষও হাততালি দিয়ে তাঁদের কাজের প্রশংসা করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও দুটি মিজোরামের মু্খ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা টুইট করে জানান, ‘এভাবেই সমাজের প্রকৃত নাগরিকদের স্বাগত জানানো উচিৎ। কারণ, এই সময় মানবিকতা ও জাতীয়তাবোধই প্রকৃত হাতিয়ার। আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞতার সঙ্গে এই চালকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ অন্য একটি টুইটার থেকে আরেকটি ভিডিও পোস্ট করে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘তিন হাজার কিলোমিটার গাড়ি চালিয় কফিন বন্দি একটি দেহ নিয়ে আসাতেই প্রকাশ পায় তাদের মানবিকতাবোধ কতখানি।’
জানা যায়, মৃত যুবক ভিভিয়ান লালরেমসাঙ্গা চেন্নাইতে মারা যাওয়ায় তাঁর দেহ দাহ করা নিয়ে নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই তাঁর কফিনবন্দী দেহ আইজলে তাঁর পরিজনেদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। চেন্নাই থেকে কলকাতা, শিলিগুড়ি, গুয়াহাটি হয়ে মিজোরামের জাতীয় সড়ক ধরে প্রায় ৮৪ ঘণ্টা একটানা গাড়ি চালিয়ে তিন হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ভিভিয়ান লালরেমসাঙ্গার দেহ তুলে দেওয়া তার পরিবারের হাতে। এই পুরো সময় তামিলনাড়ুর দুই অ্যাম্বুল্যান্স চালকের সঙ্গে ছিলেন ভিভিয়ান লালরেমসাঙ্গার এক বন্ধুও।