রঞ্জি ফাইনাল জেতার একদম কাছে এসেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। আর তারপরই বাংলার কোচের পদ থেকে সরে যেতে চেয়েছিলেন অরুণ লাল। কিন্তু তিনি চাইলেও সিএবি রাজি নয়। সংস্থার সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া ইতিমধ্যে দু’দফায় লালজির সঙ্গে চুক্তি নবীকরণ নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত কারণে প্রথমদিকে কিছুতেই রাজি হচ্ছিলেন না অরুণ লাল। সরে যাওয়ার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর ছিলেন তিনি। কিন্তু নাছোড়বান্দা সিএবি কর্তারাও। অনেক চিন্তা ভাবনার পর লালজি নাকি রাজি হয়েছেন বলে খবর। লকডাউন উঠলেই বাংলার কোচ হিসেবে অরুণ লালের সঙ্গে আরও এক বছরের চুক্তি করবে সিএবি। গত মরশুমে লালজি পেয়েছিলেন প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। বাংলা দলকে রনজি ফাইনালে তোলার পুরস্কার স্বরূপ চুক্তির পরিমাণ বেশ কিছুটা বাড়বে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছে সিএবি।
এদিন সিএবি-র এক শীর্ষ কর্তা বলেছেন, ‘নতুন কাউকে আনলে দলকে বুঝে উঠতে তার অনেক সময় চলে যাবে। লালজি বাংলা দলের প্রতিটি প্লেয়ারকে ভালোভাবে চেনেন। তাঁর প্রশিক্ষণে আমরা বহু বছর পর রঞ্জি ট্রফি জেতার খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলাম। অল্পের জন্য লক্ষ্য পূরণ হয়নি। সেই আক্ষেপ মেটানোর জন্য আরও একবার আমরা সবাই মিলে প্রাণপন লড়াই করব। আর সেক্ষেত্রে সেনাপতি হবেন অরুণ লালই। উনি প্রথমে কিছুতেই রাজি হচ্ছিলেন না। কিন্তু আমরাও তাঁকে ছাড়তে চাই না। শেষ পর্যন্ত উনি দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন।’
কোচ হিসেবে রঞ্জি ট্রফি জেতার জন্য আরও একবার ঝাঁপাতে চান অরুণ লাল। তাই সময় নষ্ট না করে কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। তাঁর নির্দেশেই বাংলার পেসাররা বাড়িতেই ট্রেনিং করছেন। এদিন অরুণ লাল বলেন, ‘অফ সিজনে ফিটনেস লেভেল যত বেশি বাড়িয়ে নেওয়া যায় ততই ভালো। গত মরশুমে আমার ট্রেনিং পদ্ধতি নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন। বলা হচ্ছিল, আমি নাকি ছেলেদের একটু বেশি পরিশ্রম করাচ্ছি। কিন্তু রঞ্জি ফাইনালে ওঠার পর সেই সমালোচকরাই আমার কোচিং পদ্ধতিকে সার্টিফিকেট দিয়েছেন।
তাই এবারও আমি পেসারদের বলেছি ফিটনেস লেভেল গতবারের থেকে আরও ভালো করতে হবে। যাতে একটানা ১০-১২ ওভারের স্পেল করতে পারে। দেশের এক নম্বর পেস আক্রমণ গড়ে তোলাই আমার লক্ষ্য। তাই এখন থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছি। লকডাউনের জেরে মাঠে গিয়ে অনুশীলন করার সুযোগ নেই। কবে ক্রিকেট শুরু হবে সেটাও কেউ জানে না। কিন্তু চুপ করে বসে থাকলে তো হবে না। তাই দলের ট্রেনারকে কিছু পরামর্শ দিয়েছি। সেই মতো পেস বোলারদের একটা পুল তৈরি করা হয়েছে। আমাদের ট্রেনার সঞ্জীব প্রত্যেক পেস বোলারের জন্য আলাদা আলাদা ট্রেনিং চার্ট তৈরি করে দিয়েছে। ট্রেনিংয়ের ভিডিও জমা পড়ছে আমাদের কাছে। যা পরে বিশ্লেষণ করা হবে। দেখা হবে কোন পেসারের কোথায় খামতি রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এই লকডাউনের জেরে ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বে জোরে বোলাররা।’