চীনের উহান প্রশাসন জানিয়েছিল, মৃতের সংখ্যা গণনায় ভুল হয়েছে। সরকারি ভাবে যত জনের মৃত্যু ঘোষণা করা হয়েছিল, আদতে সে সংখ্যাটা তার চেয়ে অন্তত ৫০ শতাংশ বেশি। এ বার তা নিয়ে বেজিংয়ের পাশে দাঁড়াল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের দাবি, অতিমারির এই সময়ে মৃতের সংখ্যা ঠিকঠাক গোনাটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
এই প্রসঙ্গে জেনিভায় একটি সাংবাদিক বৈঠকে হু-এর টেকনিক্যাল হেড মারিয়া ভ্যান কার্কহোভ বলেন, ‘অতিমারি পরিস্থিতিতে কোনও দেশের সমস্ত আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সঠিক ভাবে গোনাটাই আপনার কাছে চ্যালেঞ্জ। আমার মনে হয়, বহু দেশই এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে। যেখানে আবার তাদের পুরনো রেকর্ড ঘাঁটতে হবে এবং প্রশ্ন জাগাবে, আমরা কি সব নাম নথিবদ্ধ করলাম?’ চীনকে সমর্থন করেই কার্কহোভের দাবি, কোনও ফারাক রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতেই উহান প্রশাসন তাদের নথিপত্রের পুনর্মূল্যায়ন করেছে।
কার্কহোভের কথায়, ‘উহানের প্রশাসন এই মুহূর্তে তাদের ডেটাবেস নতুন করে চেক করে দেখছে। ফলে এই নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে। উহানে অনেকেই বাড়িতে মারা গিয়েছেন। অনেকে আবার বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। তাই তাঁদের তথ্য সেইসময় নথিভুক্ত করা হয়নি। সেগুলো এখন হচ্ছে। তাই এই সংখ্যাটা বাড়ছে।’ সব দেশেরই একই অবস্থা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই উহান প্রশাসন জানায় যে, মৃতের সংখ্যা গণনায় তাদের ভুল হয়েছে। সরকারি ভাবে যত জনের মৃত্যু ঘোষণা করা হয়েছিল, আদতে সে সংখ্যাটা তার চেয়ে অন্তত ৫০ শতাংশ বেশি। উহানে করোনা সংক্রমণে আরও ১ হাজার ২৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে সেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮৬৯ জন। উহানে মৃত্যু বাড়ার জন্য গোটা চিনেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৬৩২ জন।