করোনা অতিমহামারীর সুযোগে ভারতে বিনিয়োগ করার নামে অন্যায্য সুবিধা নিতে পারে চিন। এই আশঙ্কায় প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ সংক্রান্ত নিয়ম বদলে ফেলছে ভারত। শনিবার কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রক থেকে একথা জানানো হয়েছে। মন্ত্রক থেকে প্রেস নোট দিয়ে বলা হয়েছে, এবার থেকে ভারতের প্রতিবেশী যে কোনও দেশ সরাসরি এখানে বিনিয়োগ করতে পারবে না। তাকে আগে সরকারের কাছে অনুমতি নিতে হবে।
গোটা বিশ্বে করোনা নিয়ে একটা সঙ্কটময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই সঙ্কটের সঙ্গে যুঝছে ভারতও। ফলে দেশের এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিদেশি সংস্থাগুলো দেশীয় সংস্থাগুলোকে যাতে অধিগ্রহণ করতে না পারে, বিশেষ করে চিনের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে।
দু’টি পদ্ধতিতে কোনও বিদেশি কোম্পানি ভারতে প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ করতে পারে। তার মধ্যে একটি অটোমেটিক রুট। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি নিতে হয় না। অপরটি গভর্নমেন্ট রুট। অর্থাৎ এক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি নিয়ে বিনিয়োগ করতে হয়। এর আগে কেবল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে বিনিয়োগ করতে হলে আগে সরকারের কাছে অনুমতি নিতে হত। কিন্তু এবার থেকে ভারতের সীমান্তের ওপারে যে কয়টি দেশ আছে, সকলকে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। অর্থাৎ চিনকেও সরকারের অনুমতি নিতে হবে।
কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, কোভিড ১৯ অতিমহামারীর সুযোগে কেউ যাতে অন্যায্যভাবে ভারতের কোনও কোম্পানি কিনে না নেয়, সেজন্য এফডিআই সংক্রান্ত নিয়ম বদলানো হল। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভারতের সীমান্তের ওপারে যে দেশগুলি অবস্থিত, সেখানকার কোনও কোম্পানি বা ব্যক্তি যদি ভারতে বিনিয়োগ করতে চায়, কেবলমাত্র সরকারি রুট দিয়েই করতে পারবে।’
আগের এফডিআই নিয়ম অনুযায়ী এ দেশে কোনও বিনিয়োগ করতে গেলে শুধুমাত্র পাকিস্তান এবং বাংলাদেশকেই সরকারের অনুমতি নিতে হত। বাকি দেশগুলোর ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রযোজ্য ছিল না। পরিবর্তিত নিয়ম অনুযায়ী এখন চিনকেও সরকারের পথ হয়েই বিনিয়োগের রাস্তায় হাঁটতে হবে।