মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে দিল্লীর নিজামুদ্দিন এলাকার একটি মসজিদে ধর্মীয় জমায়েত করার অভিযোগ ওঠে মৌলানা সাদের বিরুদ্ধে। সেই সময় জমায়েতে যোগ দিতে আসা জামাত সদস্যদের একটি বাড়িতে রাখা হয়েছিল। এবার সেইসব বিষয় নিয়েই তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করেছে ইডি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সাদকে ইডি অফিসে জেরার জন্য হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আর্থিক দুর্নীতির মামলা দায়ের হওয়ার পরে মৌলানা সাদের আইনজীবী তউসিফ খান জানিয়েছেন, করোনা সংক্রামকদের সংস্পর্শে আসায় সাদ ১৪ দিনের ‘সেলফ কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। ইডির নোটিস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সংবাদ মাধ্যমের মারফত বিষয়টি জানতে পেরেছি। এই মুহূর্তে ১৪ দিনের সেলফ কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন মৌলানা সাদ। তাঁর কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ড শেষ হলেই তদন্তে যোগ দেবেন তিনি।’ তউসিফের দাবি, মৌলানা ফেরার বা নিখোঁজ একথা একেবারে ভিত্তিহীন। মৌলানা সাদ ছাড়াও, দিল্লী পুলিশের দায়ের করা এফআইআরে নাম রয়েছে জিশান, মুফতি শেহজাদ, এম সফি, ইউনুস, মহম্মদ সলমন, এবং মহম্মদ আশরাফের। তাঁদের বিরুদ্ধে মহামারি সংক্রান্ত আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও নিজামুদ্দিনের ঘটনায় মৌলানা সাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আগেই। এবার তাতে ৩০৪ ধারা সংযোজন করা হল।
নিজামুদ্দিনের ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই মৌলানা সাদের খোঁজ চলছিল। এর আগে এই জমায়েত ঘিরে মৌলানা সাদ-সহ সাতজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল দিল্লী পুলিশ। এই জমায়েত ভারতে করোনা সংক্রমণের হটস্পট হয়ে ওঠে। জামাত সদস্যদের থেকেই গোটা দেশে করোনা সংক্রমণের মাত্রা অনেক বেড়ে গিয়েছে বলে জানায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।