লকডাউন করেও আয়ত্তে আনা যাচ্ছে না পরিস্থিতি। রোজই প্রায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে দেশে আরও ১০০০ জনের শরীরে মিলেছে করোনাভাইরাস। এর ফলে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩,৩৮৭। মৃত বেড়ে হয়েছে ৪৩৭। কিন্তু এ হেন আতঙ্কের পরিস্থিতিতেই বাজল সানাই। এক হল চার হাত। হ্যাঁ, দেশজোড়া এই করোনা আবহের মধ্যেই বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হলেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারাস্বামীর ছেলে নিখিল। লকডাউনের সমস্ত নিয়ম মেনেই এই বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি কর্ণাটকের তাঁর। যদিও লকডাউনের মত ভয়ের আবহে কীভাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছেলের বিয়ের আয়োজন করলেন সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বেঙ্গালুরু থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে রামানাগারার এক ফার্ম হাউসে তাঁর অভিনেতা-পুত্র নিখিলের বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন কুমারাস্বামী। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার নাতি তথা অভিনেতা নিখিল বিয়ে করছেন কর্ণাটকের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এম কৃষ্ণাপ্পার নাতনী রেভাথিকে। তবে সমাজের একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হয়েও এভাবে লকডাউনের মধ্যে কী করে ছেলের বিয়ের আয়োজন করতে পারলেন তিনি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও লকডাউনের সব নিয়ম মেনেই এই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে বলে জানান হয়েছে কুমারস্বামীর তরফে। বলা হয়েছে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের মাস্ক পরে আসতে হবে। অনুষ্ঠান বাড়িতে থাকবে চিকিৎসক-সহ একটি মেডিক্যাল টিম। তাঁরা আমন্ত্রিতদের শারীরিক পরীক্ষা করে তবেই ঢুকতে দেবেন অনুষ্ঠানে। এই ফার্ম হাউসে থাকছে স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা, ডিকন্টামিনেশন বুথ।
কুমারাস্বামী জানান, ‘অনেক আগের থেকে বিয়ের দিন-ক্ষণ স্থির হয়ে যাওয়ার তা পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি। তাই খুবই সামান্য আয়োজন করা হয়েছে বিয়েতে। কয়েকজন আত্মীয়কে নিয়েই এই অনুষ্ঠান করা হবে। বিয়েতে লকডাউনের সব নিয়ম মানা হবে।’ বিয়ের অনুষ্ঠানের আগেই বর্তমানে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার কাছে থেকে অনুমতি নিয়েছেন জনতা দলের প্রধান। পাশাপাশি লকডাউনের সমস্ত বিধি নিষেধ মেনেই এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে সেই মর্মেই এই অনুমতি পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যায়। প্রসঙ্গত, লকডাউনের আবহে মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুয়াপ্পা এর আগেও ২২ মার্চ আরেকটি বিয়ের অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছিলেন। তাই লকডাউনের নিয়ম মেনে অভিনেতা নিখিলের বিয়েতে আপত্তি করেননি মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা।