গত মাসে করোনা মোকাবিলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দেশ জোড়া লকডাউনের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মন্ত্রী। দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ৩ সপ্তাহের বেশি। প্রথম দফায় টানা ২১ দিনের লকডাউনের পর এখন দ্বিতীয় দফায় লকডাউন চলছে দেশে। তবে এতদিনেও একবারের জন্য দেখা মেলেনি তাঁর। লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই কার্যত লোকচক্ষুর আড়ালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। হ্যাঁ, দেশের এই জরুরি পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীরা যখন প্রকাশ্যে সক্রিয়, তখন কিছু টুইট করা ছাড়া অন্তরালে শাহ।
প্রসঙ্গত, গত চার সপ্তাহে চার বার দেশের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অন্য মন্ত্রীরাও যে সক্রিয়, মাঝে-মধ্যেই ফলাও করে তা জানান দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ‘অনুপস্থিত’ শাহ। কারওর মতে, শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মতান্তরের কারণে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন তিনি। মতান্তরের কারণ হিসেবে উঠে এসেছে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নাম। যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ডোভাল প্রথমে দিল্লী সংঘর্ষ থামানো, পরে লকডাউনের সময়ে তবলিঘি জামাতের সদস্যদের নিভৃতবােস পাঠাতে সক্রিয় ভূমিকা নেন, অনেকে বলছেন— তাতে ক্ষুব্ধ অমিত।
যদিও বিজেপি নেতৃত্ব ঘরোয়া ভাবে এ কথা মানছেন না। তাঁদের কথায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কুশলী নেতৃত্বেই এত বড় দেশে লকডাউন মসৃণ ভাবে চলছে। শাহের ঘনিষ্ঠ মহলও বলছেন, বরাবরই প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করেন তিনি। তাই চুপচাপ নিজের কাজ করে যাচ্ছেন। দলের এক নেতার আবার বক্তব্য, যখন রাজনীতির লড়াই শুরু হবে, তখন প্রয়োজন হবে অমিতকে।