কয়েক দিন ধরেই আরও খারাপ হচ্ছিল পরিস্থিতি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল দেশে করোনায় আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। যার জেরে বুধবারই পাঁচ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছিল আক্রান্তের সংখ্যা। এই মুহূর্তে যা বেড়ে হয়েছে ৬৮৩৫। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ২২৯। এর মধ্যে বিহারে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬০-এর কাছাকাছি, যার প্রায় এক তৃতীয়াংশই একটি মাত্র পরিবারের সদস্য। ওই পরিবারের ২৩ জনের শরীরে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, রাজধানী পটনা থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে সিওয়ান জেলার ওই গ্রামে প্রায় ২৫ জনের শরীরের করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। যাঁদের মধ্যে দু’জন বাদে সবাই ওই পরিবারের সদস্য। ওই পরিবারেই এক সদস্য গত ১৬ মার্চ ওমান থেকে ফেরেন। ওমান থেকে ফেরার পর ওই ব্যক্তির করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়। ৪ এপ্রিল পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। ফলে তাঁর কাছ থেকেই পরিবারে বাকি সদস্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। শুধু তাই নয়। বিদেশ থেকে ফিরে ওই ব্যক্তি সিওয়ান জেলার একাধিক জায়াগায় গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সিওয়ান থেকে এখনও পর্যন্ত ৩১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
ওমান থেকে আসা ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মহিলা ও শিশুও রয়েছে। তাঁদের সবার মধ্যে প্রথমেই করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা যায়নি। কিন্তু পরে পরীক্ষা করে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। ওই পরিবারে চারজন ইতিমধ্যেই করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন, তাঁদের এখন আলাদা থাকতে বলা হয়েছে। পরিবারের আরও ১০ জনের লালারসের মনুনা নিয়ে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, এখনও তার ফল আসেনি। বিহার প্রশানস সিওয়ানে ওই গ্রাম ছাড়াও মোট ৪৩টি গ্রাম সিল করে দিয়েছে। সিওয়ান ছাড়াও বেগুসরাই ও নাওয়াদা জেলার সীমানা সিল করে দিয়েছে বিহার প্রশাসন।