করোনা পরিস্থিতির জেরে ২১ দিন ঘরবন্দী মানুষের সাহায্যে একগুচ্ছ পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। যার মধ্যে চাকরিজীবীদের জন্য ছিল প্রভিডেন্ট ফান্ড স্বস্তি। এবার কেন্দ্রীয় ঘোষণার পর মাত্র ১০ দিনের মধ্যে কমপক্ষে ২৮০ কোটি তোলা হল প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে। হ্যাঁ, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার পিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে ৭৫ শতাংশ অর্থ অগ্রিম হিসেবে তোলার সুযোগ করে দেওয়ার পর ২৭৯.৬৫ কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন ১.৩৭ লাখ পিএফ গ্রাহক। সম্প্রতি এই তথ্য জানিয়েছে ইপিএফও। এই তথ্য প্রকাশ্যের আসার পর নাগরিকদের ভবিষ্যৎ সঞ্চয়ে ঘনীভূত হয়েছে আশঙ্কার মেঘ!
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির জেরে ২১ দিন ঘরবন্দী মানুষের সাহায্যে একগুচ্ছ পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। যার মধ্যে চাকরিজীবীদের জন্য ছিল প্রভিডেন্ট ফান্ড স্বস্তি। এই সংক্রান্ত কেন্দ্রের দুই ঘোষণা ছিল- ১) ১০০ বা তার কম কর্মী আছে এবং ৯০ শতাংশের বেতন ১৫ হাজারের নীচে, এমন ৪ লাখ সংস্থার ৮০ লাখ কর্মীর বেতনের ২৪ শতাংশ তিন মাস প্রভিডেন্ড ফান্ডে দেবে কেন্দ্র। ২) পিএফ থেকে ফেরত-অযোগ্য অগ্রিমের ৭৫ শতাংশ বা তিন মাসের বেতনের মধ্যে যার পরিমাণ কম, সেই অর্থ তোলা যাবে। দ্বিতীয় ঘোষণার পরপরই মাত্র ১০ দিনেই এই পরিমাণ অর্থ তুলে নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৮ মার্চ পিএফ নিয়ম পরিবর্তনের একই তথ্য জানিয়েছিল ইপিএফও। এছাড়াও মোবাইল এসএমএস-এর মাধ্যমে একই তথ্য সম্পর্কে নাগরিকদের অবহিত করেছে তারা। মাত্র তিন দিনে পেনশনের অর্থ অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দিচ্ছে ইপিএফও। তবে এতে অন্য আশঙ্কা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময়ই অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এই টাকা প্রত্যাহার ফেরত-অযোগ্য। অর্থাৎ, সম পরিমাণ অর্থ আপনার পিএফ অ্যাকাউন্টে ফেরত দিতে পারবেন না। বেসরকারি ক্ষেত্রে অবসরের পর মাস গেলে আপনা থেকে পেনশন হাতে আসবে, সেই নিশ্চয়তা নেই। এমন সময়ে পিএফ ফান্ড থেকে জমানো অর্থ এভাবে প্রত্যাহার চলতে থাকলে ভবিষ্যতে আরও বড় আর্থিক সংকট দেখা দিতে পারে।