গতকাল রাত সাড়ে আটটা পর্যন্তও বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ জনেই আটকে ছিল। কিন্তু এক ধাক্কায় সেই সংখ্যাটা বেড়ে হয়ে যায় ১৫। নেপথ্যে তেহট্টের এক পরিবার। তবে এ জন্য কেন্দ্রের উদাসীনতাই দায়ী বলে মনে করছে রাজ্য। আর তাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ভূমিকায় চরম ক্ষুব্ধ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। জানা গিয়েছে, দিল্লীতে কোয়ারেন্টাইনে ছিল তেহট্টের পরিবার। কোয়ারেন্টাইন ভেঙে একেবারে গোপনে দিল্লী থেকে ট্রেনে নদীয়াতে চলে আসে তাঁরা। আর এই ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রক অবগত না করানোয় কেন্দ্রের ভূমিকায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
শুক্রবার রাতেই রাজ্যে নতুন করে আরও পাঁচ করোনা আক্রান্তের হদিস মেলে। তেহট্টর একই পরিবারের ৫ জন করোনা আক্রান্ত হন। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে এক নয় মাসের এবং এক ছয় বছরের শিশুও। রয়েছে এক ১১ বছরের কিশোরও। এছাড়া ২৭ বছরের এক তরুণী এবং ৪৫ বছরের এক মহিলা আক্রান্ত হয়েছে।
প্রথমে পরিবারটি দিল্লীতে ছিল। দিল্লীতে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল আক্রান্তদের। কিন্তু কোয়ারেন্টাইন ভেঙে ট্রেনে দিল্লী থেকে নদীয়াতে ফেরে পরিবারটি। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অভিযোগ, দিল্লীতে থাকাকালীন পরিবারটির সম্পর্কে রাজ্যকে কোন রকম তথ্য দেয়নি স্বাস্থ্যমমন্ত্রক। আগে থেকে পরিবারটি সম্পর্কে জানা থাকলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পারত রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সে ক্ষেত্রে নতুন করে রাজ্যে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকত না বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, নদীয়ার তেহট্টের এই পরিবার সম্প্রতি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। তাদের সংস্পর্শে আসা মোট ২১জনকে ইতিমধ্যে নদীয়া থেকে কলকাতায় আনা হয়েছে। এরই পাশাপাশি দিল্লী থেকে ট্রেনে নদীয়া ফেরার সময় ওই পরিবারটির সহযাত্রীদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর শুরু করা হয়েছে।