মমতার ডাকে সাড়া দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর মহারাষ্ট্রে আটকে পড়েছিলেন বাংলার বেশ কয়েকজন শ্রমিক। তাঁরা মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। কয়েকদিন আগেই ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন তাঁরা। সেখানে বলেন, অর্থ শূন্য, খাদ্য শূন্য অবস্থায় তাঁরা মুম্বইয়ে বান্দ্রার ভারতনগরে আটকে পড়েছেন। কয়েকদিন আগে তাঁরা বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেনের টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ লকডাউন ঘোষিত হওয়ায় সেই ট্রেন বাতিল হয়ে গিয়েছে। ফলে বাড়ি ফেরার কোনো রাস্তা নেই।
সেই পরিস্থিতিতে হাতে ছিল না টাকা। ছিল না পর্যাপ্ত খাদ্য। এই অবস্থায় বেশ কয়েকজন মিলে আশঙ্কায় দিন কাটছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের সেই অবস্থার ভিডিও দেখে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, শ্রমিকরা কিভাবে জীবন ধারণ করবেন? সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বৃহস্পতিবার উদ্ধব–সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের একটি চিঠি লেখেন। সেই চিঠিতে উল্লেখ করেন যে তাঁদের রাজ্যগুলিতে অনেক বাঙালি শ্রমিক আটকে পড়েছেন। তাদের কাছে অর্থ নেই। খাদ্য নেই। লকডাউন যতদিন চলবে, ততদিন তাঁরা বাড়িতে ফিরতে পারবেন না। এই পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর যদি সেই শ্রমিকদের খেয়াল রাখেন, তাহলে তাঁরা সুস্থভাবে এই কদিন কাটিয়ে দিতে পারবেন। তবে লকডাউন উঠে গেলে তারপর তাঁরা আবার ফিরে আসবেন বাড়িতে।
এই চিঠির উত্তর তৎক্ষণাৎ পাঠিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। যে বাঙালি শ্রমিকরা আটকে পড়েছেন, তাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন তিনি। দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষে সমস্ত শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন আদিত্য ঠাকরে। এই ক’দিন যাতে অভুক্ত থাকতে না হয়, সেই জন্য আদিত্য তাঁদের হাতে পৌঁছে দিয়েছেন যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য দ্রব্য। আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে থেকেই একজন জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্র সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে, সেই জন্য ধন্যবাদ জানাই। সেই সঙ্গে বাংলার সরকার যে তাঁদের ডাকে সাড়া দিয়ে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেছে, সেই জন্য সেই শ্রমিকরা ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।