কে হবেন মধ্যপ্রদেশের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী? গত তিনদিন ধরে বিজেপির অন্দরে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।
কমলনাথের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের পতনের পর বিজেপির সরকার গঠনের রাস্তা একেবারে পরিষ্কার। ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। ফলে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার মোট আসন কমে হয়েছে ২০৬। ম্যাজিক ফিগারও কমে দাঁড়িয়েছে ১০৪। নিজেদের শক্তিতেই এখন সরকার গড়ার মত জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। অথচ কমলনাথ সরকারের পতনের পর গত তিনদিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করে উঠতে পারেনি গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতাদের দাবি, করোনা ভাইরাসের প্রকোপের জন্য রাজনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধ। তাই ঘোষণা হচ্ছে না মুখ্যমন্ত্রীর নাম। যদিও এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কারন। আসলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি গেরুয়া শিবির। একজন নন, অন্তত ৩ জন দাবিদার আছেন ওই পদের। আর তাতেই বেঁধেছে যাবতীয় গণ্ডগোল।
ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং বিধায়ক নরোত্তম মিশ্রর মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়ে গিয়েছে। দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বচসাও হয়েছে একপ্রস্থ। রাজ্যের কংগ্রেস সরকারে ঘুণ ধরাতে নরোত্তম মিশ্রর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করেন তাঁর সমর্থকরা। একইসঙ্গে এই ‘রংপঞ্চমী’ মিশনে শিবরাজের কোনও ভূমিকা নেই বলেও দাবি করেন তাঁরা। লড়াইয়ে নাম লিখিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরও। মধ্যপ্রদেশ বিজেপির দাপুটে এবং প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে একেবারে উপরের সারিতে উচ্চারিত হয় নরেন্দ্র সিং তোমরের নাম। তিনিও মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার। তবে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের প্রথম পছন্দ শিবরাজ সিং চৌহানই। মূল লড়াইটা চৌহান এবং নরোত্তম মিশ্রর।
মধ্যপ্রদেশের দাপুটে নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বিজেপিতে যোগ দেওয়া ঘিরে বিজেপির অন্দরেই ফাটল তৈরি হয়েছে। অনেকেই সিন্ধিয়ার যোগদানের বিরোধিতা করছেন। এই পরস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর পদকে কেন্দ্র করে যদি নতুন সঙ্কট তৈরি হয়, তাহলে তা বেশ চিন্তায় রাখবে গেরুয়া শিবিরকে। যদিও শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে শিবরাজকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বাছা হতে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।