বিগত কয়েকদিনের মধ্যেই ঝড়ের গতিতে বেড়েছে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই সেই সংখ্যা ২০০ পার করেছে। মৃত্যু হয়েছে চারজনের। ফলে আর কোনও ভাবেই ছাড় দিতে রাজি নয় প্রশাসন। সংক্রমণ রুখতে একের পর এক জরুরি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রাজ্য সরকারগুলি। এদিন মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে মুম্বই শহরকে আংশিক লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জরুরি পরিষেবা ব্যতীত সমস্ত দফতর ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। এছাড়াও সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রাখা হবে। জরুরি সামগ্রীর দ্রব্যও কেনা যাবে না। দফতর বলতে কেবল জরুরি পরিষেবার অফিস খোলা থাকবে। মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ ছুঁয়েছে। সেই কারণে এই কড়া পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, রাজধানীর সমস্ত শপিং মল এদিন থেকে বন্ধ রাখা হবে। কোনও ভাবেই এই ভাইরাসকে সংক্রামিত হতে যাওয়া যাবে না। একই সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি কর্মীদেরও বাড়িয়ে বসেই কাজ করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। তবে দিল্লীতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান এবং ওষুধের দোকান খোলা রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। দিল্লী এবং মহারাষ্ট্র, উভয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাই বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার মালিকদের কাছে আবেদন করেছেন, তাঁরা যেন মানবিক হন। এই কদিন কর্মচারীরা কাজে না আসতে পারলেও মাইনে দেন।
তবে মুম্বইতে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এখনও বন্ধ করা হয়নি। তবে মানুষজন যদি তা ব্যবহারে রাশ না টানেন তখন বাধ্য হয়ে সেগুলিও বন্ধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। সেটাই চরম এবং শেষ পদক্ষেপ হবে সরকারের। অন্যদিকে সরকারি অফিসে হাজিরা কমিয়ে ২৫ শতাংশ করে দেওয়া হয়েছে। কোনও রকমের আপাতকালীন প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন ঘর থেকে না বের হয় সেই আবেদনও জানানো হয়েছে মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে।