করোনা জেরে রাজ্য সরকার স্কুলগুলোতে ছুটি ঘোষণা করেছে। ছুটির আওতায় আছে অঙ্গনওয়াড়ি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রগুলোও। সেখানকার শিশুরা দুপুরের খাবার থেকে যেন বঞ্চিত না হয়, সেদিকে নজর ছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। তার নির্দেশে বুধবার থেকে শুরু হয় চাল ও আলু দেওয়া। ২ কেজি করে চাল, ২ কেজি আলু দেওয়া হয় শিশুদের মায়েদের হাতে।
বসিরহাটের আরবান শিশুবিকাশ সেবা প্রকল্পের অধীনে থাকা ৭৫টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে বাড়ি গিয়ে চাল আলু তুলে দেওয়া হল। প্রসূতি এবং গর্ভবতী মহিলাদের হাতে চাল ও আলু তুলে দেওয়া হয়।
এদিন সকালে বসিরহাট আর্বান শিশুবিকাশ সেবা প্রকল্পের আধিকারিক (সিডিপিও) জ্যোতিরিন্দ্র চক্রবর্তী নিজে বিভিন্ন বাড়ি গিয়ে উপভোক্তাদের আলু ও চাল বিলি করেন। পশ্চিম দণ্ডিরহাট পাড়ুইপাড়া শিশু আলয়ে ৮০টি শিশু–সহ ১০ জন গর্ভবতী এবং ৫ জন প্রসূতি মহিলাকে চাল ও আলু দেওয়া হয়।
আর্বান শিশুবিকাশ সেবা প্রকল্পের আধিকারিক জ্যোতিরিন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, ‘করোনার কারণে সরকারের নির্দেশমতো ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সব কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। ওই সময়ে যাতে মা ও শিশুরা অপুষ্টিতে না ভোগেন সে–কথা মাথা রেখে ২ কিলো চাল এবং ২ কিলো আলু ৭৫টি কেন্দ্র থেকে দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা আসতে পারেননি তাঁদের বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।’