মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে নয়া মোড়। কংগ্রেসের ঘর ভাঙাতে গিয়ে এবার বেকায়দায় বিজেপি। বৃহস্পতিবার রাতেই পদত্যাগ করেছিলেন এক কংগ্রেস বিধায়ক। ঠিক এরপরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপির দুই বিধায়ক। রাতারাতি তাঁরা পদ্মশিবির ছাড়তে পারে বলেও গুজব ছড়ায়। যদিও সেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন দুই বিধায়কই। তাঁদের কথায়, ‘বিধানসভা কেন্দ্রের উন্নয়ন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম।’
নিখোঁজ চার কংগ্রেস বিধায়কের একজন মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার স্পিকার এন পি প্রজাপতির কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন। হরদীপ দাং নামে ওই বিধায়কের ক্ষোভ, দলের মধ্যে তাঁকে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হত না। চিঠিতে তিনি আরও জানিয়ছেন, ‘রাজ্যের কোনও মন্ত্রী কাজ করতে চাই না কারণ তাঁরা সকলেই এক দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের অংশ।’ যদিও মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও বিধানসভার স্পিকার জানিয়েছেন তাঁরা কোনও চিঠি পাননি। কমলনাথ জানান, তিনি সংবাদমাধ্যম মারফত জানতে পেরেছেন জানতে পারেন হরদীপ দাং দল ছাড়ছেন।
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য কংগ্রেসের দশ বিধায়ককে সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। ছ’জনকে ‘উদ্ধার’ করতে পারলেও চার জন এখনও নিখোঁজ। ওই চারজনের মধ্যে হরদীপ ছাড়াও ছিলেন রঘুরাজ কানসানা, বিশাউলাল সিং এবং শেরা ভাইয়া নামে এক নির্দল বিধায়ক। এঁদের মধ্যে হরদীপ পদত্যাগ করেছেন বলে খবর।
এদিকে এই টানাপোড়েনের মাধ্যমেই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের সঙ্গে দেখা করেন দুই বিজেপি বিধায়ক- সঞ্জয় পাঠক ও নারায়ণ ত্রিপাঠি। জল্পনা ছড়ায়, রাতেই গেররুয়া শিবির ছাড়তে পারেন ওই দুই বিধায়ক। যদিও সেই জল্পনাকে মিথ্যা বলে দাবি করেন দুজনই। বিজেপি হিধায়ক সঞ্জয় পাঠক বলেন, ‘আমি বিজেপিতে ছিলাম, আছি আরও থাকবও। এলাকার উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েছিলাম।’ যদিও সে কথা মানতে নারাজ রাজনৈতিক মহল।অভিযোগ কর্ণাটকের পর মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের ঘর ভাঙানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। অথচ রাতারাতি দুই বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে বৈঠক করে গেরুয়া শিবিরে কাঁপুনি ধরিয়ে দিলেন কমলনাথ। বুঝিয়ে দিলেন, ঘোড়া কেনা-বেচার দৌড়ে পিছিয়ে নেই কংগ্রেসও।