পেরিয়ে গিয়েছে ৫ দিন। এখনও ধিকিধিকি জ্বলছে হিংসার আগুন। যদিও গত কয়েকদিন ধরে পেট্রোল-বোমা-অ্যাসিড ছুঁড়ে, গাড়ি জ্বালিয়ে যে তাণ্ডব চলছিল রাজধানীর রাস্তায়, এখন তা থেমেছে। তবে দিল্লীর হিংসার বলি গিয়ে ঠেকেছে ৪৩–এ। শুক্রবার আরও তিনটে দেহ উদ্ধার হয়েছে নর্দমা থেকে। আর পিটিয়ে মারা হয়েছে এক বৃদ্ধকে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে গুরু তেগবাহাদুর হাসপাতালে নিয়ে আসার অল্পক্ষণের মধ্যেই তিনি মারা যান।
হত মোট ৪৩ জনের মধ্যে ৩৮ জনের মৃত্যু নথিবদ্ধ হয়েছে তেগবাহাদুর হাসপাতালে। হয় তাঁরা সেখানে মারা গেছেন, বা মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। বাকি ৪ জনের মধ্যে ৩ জন লোকনায়ক হাসপাতাল, আরেক জন যোগপ্রবেশ চন্দ্র হাসপাতালে মারা গেছেন। এই ৪২ জনের মধ্যে এক জন বাদ দিয়ে সকলেই পুরুষ। কিন্তু এখনও সব দেহ শনাক্ত করা হয়নি। নিখোঁজদের পরিবারের লোকজন এখনও দিশেহারা। তেগবাহাদুর হাসপাতালের মর্গের বাইরে হত্যে দিয়ে পড়ে আছেন তাঁরা। লাশের পাহাড়ে স্বজনকে খুঁজে বের করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
যেমন, চব্বিশ বছরের মহসিন আলির পরিবারের অবস্থা। একটি লাশ মহসিনের এক ভাই আর বাবা প্রথমে ভেবেছিলেন ওটাই মহসিনের দেহ। বাবা সাজিদ আলি কাঁদতে শুরু করে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে দেখা যায় ওই দেহের মাথায় মোটামুটি লম্বা চুল। যেখানে মহসিন খুব সম্প্রতি চুল খুব ছোট করে কেটেছিলেন। তা ছাড়াও এই দেহের হাতে কাটা দাগ ছিল, যেটা মহসিনের ছিল না। পুলিশ এর পরে একটি পোড়া গাড়ির পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া একটা দগ্ধ দেহকে মহসিনের বলে প্রাথমিক ভাবে শনাক্ত করেছে। এখন ডিএনএ রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন তাঁর পরিবার।