দিল্লী সঙ্ঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ৩৯ ছুঁয়েছে। কিন্তু রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব যাঁর, তিনি চুপ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের এই নীরবতাকে এবার একহাত নিল শিবসেনা। শুক্রবার সামনার সম্পাদকীয়তে জানতে চাওয়া হয়েছে, যেই সময় দেশের রাজধানী জ্বলছে তখন অমিত শাহের ভূমিকা ঠিক কী? এদিন সামনা-য় লেখা হয়, ‘দিল্লী দাঙ্গার ধুলোয় আমার ক্রমশ অন্ধ হয়ে যাচ্ছি কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। বিষয়টা উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো। প্রশ্ন উঠছে, দিল্লী যখন জ্বলছিল অমিত শাহ তখন কোথায় ছিলেন?’
বুধবার সঙ্ঘর্ষ বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। যেই কাজটা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের করা উচিত সেটা করতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে কেন নামতে হচ্ছে? এই প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। এই অবস্থায় শিবসেনার প্রশ্ন, ‘অজিত ডোভালকে তো পথে নেমে মানুষজনের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেল। কিন্তু মানুষ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কখন দেখতে পাবে? নির্বাচনের আগে প্রচারপত্র বিলি করার সময় তো উনি উপস্থিত ছিলেন।’ দিল্লীতে যখন আগুন জ্বলছিল তখন প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সরকার যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে যেভাবে ‘হাতে হাত’ রেখেছিলেন, তা নিয়েও বেনজির আক্রমণ করা হয়েছে শিবসেনার মুখপত্রে। ‘উগ্র জাতীয়তাবাদ এবং সাম্প্রদায়িকতা দেশকে ১০০ বছর পিছনে নিয়ে চলে গিয়েছে’ বলেও দাবি করেছে তারা।
সম্প্রতি দিল্লী হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধরকে যেভাবে মাঝরাতে বদলি করে দেওয়া হয়েছে, সেটাও খুব একটা ভাল চোখে দেখছে না মহারাষ্ট্রের শাসকদল। উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করা বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে তিনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলাতেই কি এই বদলি? পরোক্ষভাবে এই প্রশ্ন তুলে সেনা দাবি করেছে, ‘সত্যি কথা বলার জন্য আদালতকেও শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। বিচারপতি মুরলীধর কী এমন ভুল বলেছিলেন?
সম্পাদকীয়তে নিজেদের শরিক কংগ্রেসকেও ছেড়ে কথা বলেনি সেনা। বিজেপির সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বা সঠিক সওয়াল খাড়া করতে কংগ্রেস যে ব্যর্থ, তাও লেখা হয়েছে। কংগ্রেসকে ‘দুর্বল’ বিরোধী হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে সেখানে। লেখা হয়েছে, ‘এই মুহূর্তে যদি বিজেপি বিরোধী আসনে থাকত, তবে দিল্লীর রাস্তা বন্ধ হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করত তারা। কিন্তু যেহেতু বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে এবং বিরোধী শিবির দুর্বল, তাই এই ধরনের কিছুই হবে না।’