হুগলির পোলবায় পুলকার দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে ছোট্ট শিশু ঋষভ। তবে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছে আরেক শিশু দিব্যাংশু। সেই ঘটনাতেই ওই পুলকারের মালিক শেখ শামিম আখতারকে এদিন গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এমনকি দুর্ঘটনায় আহত পুলকার চালক পবিত্র দাসকে কল্যাণী হাসপাতালে গিয়েও জেরা করে তদন্তকারী দল।
তবে এই পুলকার দুর্ঘটনায় এবার নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। এদিন স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে বৈঠক হয় নবান্নে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পুলকার নিয়ে একটি টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হবে। সেই টাস্ক ফোর্সে পরিবহন দফতর, পুলিশ ও স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা থাকবেন। শুধু তাই নয়, বাণিজ্যিক গাড়ির ক্ষেত্রেও কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। বাণিজ্যিক গাড়ি পুলকার হিসেবে ব্যবহার করলে সাত দিনের নোটিশ দেওয়া হবে। তাতেও পরিষেবা বন্ধ না করলে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে। পুলকারের বিষয়ে সমস্ত তথ্য সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুল শিক্ষা দফতরকে জানাবে।
পুলকার এবং স্কুলবাসে সন্তানদের স্কুলে পাঠান যে সব অভিভাবক, তাঁদের সঙ্গেও বৈঠকে বসবে বিভিন্ন স্কুল। এর আগে পুলকার এবং স্কুলবাসের চালক ও মালিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বিধাননগর কমিশনারেটের আধিকারিকরা। তবে এবার অভিভাবকদের সঙ্গেও থানাভিত্তিক বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশের বক্তব্য, পুলকার বা স্কুলবাসগুলিকে অনেক বিধিনিষেধ মানতে হয়। পড়ুয়াদের স্বার্থে রাখতে হয় বেশ কিছু ব্যবস্থা। কিন্তু অধিকাংশ গাড়ির মালিক সে সব নিয়মের তোয়াক্কা করেন না। অভিভাবকদেরও বড় অংশ এ ব্যাপারে সচেতন নন। সেই ফাঁক দূর করতেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত। সবমিলিয়ে এই পোলবা কাণ্ডের মত দুর্ঘটনা আর যাতে না ঘটে, তা দেখতে এবার কঠোর হচ্ছে রাজ্য সরকার।