গতকাল, বুধবারই শান্তি, ভ্রাতৃত্বের বার্তা দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার রাত থেকে রাজধানীর উত্তপ্ত স্থানগুলি ঘুরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। কিন্তু তারপরেও থামছে না হিংসা। এখনও হিংসার আগুনে জ্বলছে উত্তর-পূর্ব দিল্লী। মৌজপুর, ব্রহ্মপুরী, ভজনপুরাচক, গোকুলপুরী-সহ বিভিন্ন এলাকায় চলছে দফায় দফায় সংঘর্ষ। রাজধানীতে হিংসার ঘটনায় মৃতের সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। দিল্লীতে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪! ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যে কেন্দ্রের অধীনস্থ দিল্লী পুলিশ ব্যর্থ, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট। এবার সেই একই কথা জানিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করল রাষ্ট্রপুঞ্জও। তাদের মতে, দিল্লীতে এত মানুষের মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আবেদন জানিয়েছে তারা।
প্রসঙ্গত, দিল্লীর হিংসায় রাষ্ট্রপুঞ্জ উদ্বিগ্ন, এ কথা জানিয়েছেন খোদ রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস। তিনি বিবৃতি দিয়ে উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসায় নিহতদের প্রতি শোকজ্ঞাপন করেছেন। পাশাপাশি হিংসা রুখতে দ্রুততার সঙ্গে মানুষকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গতকালই গুতেরেস জানিয়েছিলেন, খুব কাছ থেকে দিল্লীর পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। তিনি জানান, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হওয়া উচিত এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে সংযতভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা উচিত।গুতেরেসের মুখপাত্র স্টেফানি ডুজারেক জানিয়েছিলেন, আমার মনে হয় প্রতিবাদীদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে দেওয়াটা খুবই জরুরী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সংযত হয়ে কাজ করা উচিত।