বিগত ৩ দিন ধরেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি দিল্লীর। সতর্কতা জারি করেও সেখানে আটকানো যাচ্ছে না মৃত্যুমিছিল। বুধবার সকালে সেখানে আরও ৫ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। তাতে দেখা গেছে, চার দিনের মাথায় সেখানে মৃত্যুসংখ্যা গিয়ে ঠেকল ২৩-এ। আহতের সংখ্যাও কম নয়। প্রায় ২০০-র কাছাকাছি।
মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত দিল্লীতে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৩। এ দিন সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় আরও চার জনকে গুরু তেগবাহাদুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পরে হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের এমডি সুনীলকুমার গৌতম। বেলা বাড়লে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়। দুপুরে চাঁদ বাগ থেকে এক গোয়েন্দা অফিসারের দেহ উদ্ধার হয়। তার পর লোকনায়ক হাসপাতালে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়।
মৃত্যুসংখ্যা লাফিয়ে বাড়ার পাশাপাশি, এখনও দিল্লীতে হিংসা অব্যাহত। এ দিন ভোর সাড়ে ৪টে থেকে নতুন করে পাথর ছোড়াছুড়ি শুরু হয় উত্তর-পূর্ব দিল্লীর ব্রহ্মপুরী-মুস্তাফাবাদ এলাকায়। গোকুলপুরীতে একটি পুরনো জিনিসপত্রের দোকানেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তবে দমকলের একটি ইঞ্জিন সময়মত ঘটনাস্থলে চলে আসায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এ দিন জোহরিপুরায় ফ্ল্যাগমার্চ করে পুলিশ। গোকুলপুরীর ভাগীরথী বিহার এলাকায় ফ্ল্যাগমার্চ করে সিআরপিএফ, এসএসবি, সিআইএসএফ এবং পুলিশের যৌথ বাহিনী। সীলামপুর, জাফরাবাদ, মৌজপুর, গোকুলপুরী-তে এখনও ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।